কুমিল্লার মুরাদনগরে গৃহবন্দি নারী ধর্ষণের শিকার, কী ঘটেছিল

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে তার বাবার বাড়িতে গিয়ে জোর করে দরজা ভেঙে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ২৫ বছর বয়সী এই নারী তার সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন—কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে ঘটে যায় এক ভয়ঙ্কর ঘটনা।

রাত আনুমানিক ১০টার দিকে অভিযুক্ত ফজর আলী দরজায় কড়া নাড়ে। নারীটি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানালে সে জোর করে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে।

ফজর আলীর সঙ্গে ওই পরিবারের পূর্বপরিচয় ছিল—টাকার লেনদেনের সূত্র ধরে। পাশের বাড়ির লোকজন চিৎকার শুনে ছুটে আসে। ফজর আলীকে আটক করে মারধরও করা হয়। পরে স্থানীয় এক হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি।

এরপরই ফেসবুকে ভাইরাল হয় ঘটনার একটি ভিডিও। সমাজে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। শেষমেশ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ফজর আলী—ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে।

এখানেই শেষ নয়, ঘটনাস্থলে থাকা কিছু লোক ধর্ষণের শিকার নারীর ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই অপরাধে ইতোমধ্যেই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এক নারীর সম্ভ্রমহানির পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত মুহূর্তের লঙ্ঘন—দ্বিগুণ অপরাধ, দ্বিগুণ লজ্জা আমাদের সমাজের জন্য। নারীর সম্মান রক্ষা করা শুধু পুলিশের কাজ নয়—আমাদের সবার দায়িত্ব। চুপ করে থাকলে অপরাধীরা আরও সাহস পাবে।