মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট

ওলিউল্লাহ তুহিন | প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫৫

সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর এক শিক্ষার্থীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া ‘কুরুচিপূর্ণ’ ও ধর্মীয় অবমাননাকর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাত ১১টা থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ চলে রাত ২টা পর্যন্ত, যাতে অংশ নেন কয়েক শত শিক্ষার্থী।

‎বিক্ষোভকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী শ্রীশান্তকে রাতেই সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে প্রশাসনিক সূত্র।

অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এক মুসলিম ছাত্রীকে ধর্ষণের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটে বিষয়টি নিয়ে গর্ব প্রকাশ করেন। এছাড়াও তিনি বোরকা, হিজাবসহ নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে পোস্ট করেন, যার স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

‎আহসান উল্লাহ হলের ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান।

‎তিনি জানান, "শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি। অভিযোগ বা মামলা পেলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"

‎ওসি আরও জানান, যদিও আহসান উল্লাহ হল চকবাজার থানার আওতাধীন, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভস্থল পড়ে শাহবাগ থানার অধীনে। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উভয় থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

‎এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে দ্রুত বিচার, স্থায়ী বহিষ্কার এবং আইনানুগ কঠোর শাস্তির দাবি জানান। আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, একাধিকবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও শুরুতে বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়নি। পরে রাতেই প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়।

‎সাময়িক বহিষ্কার ও মামলা দায়েরের আশ্বাসের পরও শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলছেন, এমন গুরুতর অভিযোগে কেন দেরিতে ব্যবস্থা নেওয়া হলো এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরুতে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না আসায় আরও উদ্বেগ তৈরি হয়।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top