মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২

চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে রাতভর সংঘর্ষ, ছাত্রদল কর্মী নিহত

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪২

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় বিএনপি নামধারী দুই গ্রুপের মধ্যে রাতভর সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় সাজ্জাদ হোসেন (২৬) নামে ছাত্রদলের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এতে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আটজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, নতুন ব্রিজের টেম্পু স্ট্যান্ডসংলগ্ন সরকারি জমি দখল ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। মঙ্গলবার গভীর রাতে ব্যানার সরানোকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সূত্র বলছে, মেয়র শাহাদাত হোসেনের ছবিযুক্ত ব্যানার টানানো নিয়ে বিরোধের জেরে প্রথমে হাতাহাতি পরে গুলি ছোড়া শুরু হয়। একটি পক্ষ নিজেদের মেয়র শাহাদাতের অনুসারী দাবি করে, অন্যপক্ষ বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলালের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তবে কোনো পক্ষের শীর্ষ নেতা অস্ত্রধারীদের নিজেদের লোক হিসেবে স্বীকার করেননি।

হতাহতদের সঙ্গে হাসপাতালে আসা ছাত্রদলের এক নেতা জিএম সালাউদ্দিন আসাদ দাবি করেন, “যুবলীগের সন্ত্রাসীরা যুবদলের পরিচয় নিয়ে এলাকায় অপকর্ম করছে। আমাদের ছেলেরা ব্যানার খুলতে গেলে ছাদ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়।”

দল থেকে বহিষ্কৃত যুবদল নেতা বাদশা অভিযোগ করে বলেন, “গুলির আগে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাদের কাছে এত অস্ত্র কোথা থেকে এলো, তদন্ত হওয়া দরকার।”

নিহত সাজ্জাদের বাবা মো. আলম বলেন, “বন্ধুরা ফোন করে আমার ছেলেকে ডেকে নিয়েছে। কী নিয়ে ঝামেলা জানি না। আমি চাই আমার ছেলের হত্যার বিচার হোক।”

উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের ৩০ মার্চ একই এলাকায় চলন্ত গাড়িতে গুলি করে দুইজনকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সেই ঘটনাতেও একই গ্রুপের নাম উঠে আসে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, “দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। দোষীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।”



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top