বাংলাদেশিদের কাছে ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় গন্তব্য মালয়েশিয়া ভ্রমণ
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৫১
প্রতি বছরই বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া যান। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আধুনিক স্থাপনা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য পর্যটকদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
ভ্রমণপিপাসুদের জন্য মালয়েশিয়া যেতে হলে আগে ট্যুরিস্ট ভিসা নিশ্চিত করতে হয়। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হবে অন্তত ছয় মাস এবং পাসপোর্টে তিনটি খালি পৃষ্ঠা থাকা বাধ্যতামূলক।
ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজন—
দুটি পাসপোর্ট সাইজের স্টুডিও ছবি,
রিটার্ন টিকিট,
গত ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট,
হোটেল বুকিংয়ের প্রমাণপত্র।
বাংলাদেশি নাগরিকদের মালয়েশিয়া ভ্রমণের আগে এখন Malaysia Digital Arrival Card (MDAC) পূরণ করতে হয়। এটি করা যায় সরাসরি এমডিএসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।
দর্শনীয় স্থানসমূহ
কুয়ালালামপুর:
মালয়েশিয়ার রাজধানী শহর কুয়ালালামপুরে রয়েছে বিশ্ববিখ্যাত পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার, যা ১,৪৮৩ ফুট উঁচু জোড়া অট্টালিকা। এখানকার স্কাই ব্রিজ, অবজারভেশন ডেক ও গিফট শপ পর্যটকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়। এছাড়া কুয়ালালামপুর টাওয়ার, সুলতান আব্দুল সামাদ ভবন ও বাতু গুহা ঘুরে দেখা যায়।
ল্যাংকাউই দ্বীপ:
উত্তর-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত ল্যাংকাউই দ্বীপ মালয়েশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এখানকার প্রধান আকর্ষণ কেবল কার রাইড, যা থেকে পাহাড়, সমুদ্র ও সবুজ প্রকৃতির মায়াবী দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
ক্যামেরুন হাইল্যান্ডস:
মালয়েশিয়ার প্রাচীনতম পর্যটনস্থলগুলোর একটি এটি। দেশের সবচেয়ে বড় টি স্টেট এখানেই অবস্থিত। চায়ের সুবাস, নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় এটি এক মনোমুগ্ধকর স্থান।
মাউন্ট কিনাবালু:
দেশটির সর্বোচ্চ পাহাড় এবং বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ দ্বীপশৃঙ্গ। এখানে দেখা মেলে বিরল প্রজাতির ফুল রাফলেশিয়া ও ওরাংওটান ফুলের।
মালাক্কা ও পেনাং:
ঐতিহাসিক এই দুই শহর ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত। প্রাচীন স্থাপত্য, উপকূলীয় দৃশ্য এবং ঐতিহ্যবাহী ইউরোপীয় স্থাপনার কারণে এগুলো এখনো পর্যটকদের কাছে সমানভাবে আকর্ষণীয়।
নিফ্লা৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।