• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২২, ০২:১৮

‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সপ্তাহব্যাপী ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’র উদ্বোধন করেছেন। বুধবার (১৫ জুন) সকালে গণভবনে এক অনুষ্ঠানে বহুল প্রতীক্ষিত জনশুমারির উদ্বোধন করেন তিনি।

জনশুমারি ত্রুটিমুক্ত ও সফল করতে দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণনা পরিচালিত হচ্ছে। সর্বশেষ ২০১১ সালে ‘আদমশুমারি’ হয়। এর ১১ বছর সময়েরও পর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ডিজিটাল পদ্ধতিতে সপ্তাহব্যাপী জনশুমারি পরিচালনা করছে।

জনশুমারির জন্য মাঠপর্যায়ে ১৫-২১ জুনের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করা হবে, যা ‘শুমারি সপ্তাহ’ হিসেবে বিবেচিত হবে।

এ জনশুমারিকে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম মঙ্গলবার (১৫ জুন) সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য জনশুমারির তথ্য ও পরিসংখ্যান খুবই জরুরি। জনশুমারির প্রশ্নপত্রে প্রায় ৩৫টি প্রশ্ন থাকবে, যেখানে গণনাকারী ট্যাব ব্যবহার করে মানুষের কাছ থেকে প্রশ্নের উত্তর নেবেন।

ড. আলম বলেন, জনগণকে জনশুমারির আওতায় আনার জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টির সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যাতে গণনা প্রক্রিয়ার আওতায় আসে এবং কেউ যাতে বাদ না পড়েন, সেদিকেও জোর দেওয়া হয়েছে। একবার জনশুমারি সম্পন্ন হলে প্রায় দুই কোটি লোক অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জনসংখ্যা ও গৃহশুমারি ২০২২ প্রকল্পের পরিচালক মো. দিলদার হোসেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, গৃহহীন ও অসহায় মানুষের তথ্য সংগ্রহের জন্য এরই মধ্যে শহর ও গ্রাম উভয়ক্ষেত্রেই প্রায় দুই হাজার নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণনাকারীরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন এবং কোনো অনুরোধ থাকলে গণনাকারীরা রাতেও মানুষের বাড়িতে যাবেন।

এ জনশুমারি সফল করতে প্রায় তিন লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন গণনাকারী, ৬৩ হাজার ৫৪৮ জন সুপারভাইজার, তিন হাজার ৭৭৯ জন আইটি সুপারভাইজার, তিন হাজার ৭৭৯ জন জোনাল অফিসার, ১৬৩ জন জেলা জনশুমারি সমন্বয়কারী এবং ১২ জন বিভাগীয় জনশুমারি সমন্বয়কারী বিভিন্ন স্তরে শুমারি কার্যক্রমে সক্রিয় থাকবেন।

বিবিএস সদর দপ্তরে এরই মধ্যে একটি অত্যাধুনিক কল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে, যেখান থেকে যে কেউ ০৯৬০২৯৯৮৮৭৭ নম্বরে ফোন করে আদমশুমারি সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য পেতে পারবেন।

জনশুমারি পরিচালনার জন্য ওয়েবভিত্তিক ইন্টিগ্রেটেড সেন্সাস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইসিএমএস) এবং ভৌগলিক তথ্য সিস্টেম (জিআইএস) এরই মধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। গণনা এলাকার জন্য নিয়ন্ত্রণ মানচিত্রও প্রস্তুত করা হয়েছে।

জনশুমারিতে ভৌগলিক তথ্য ব্যবস্থাভিত্তিক ডিজিটাল মানচিত্র ব্যবহার, ডিজিটাল ডিভাইস ‘ট্যাব’ ব্যবহার করে কম্পিউটার সহায়ক পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের সব পরিবারের তথ্য একযোগে সংগ্রহ করা হবে।

এনএফ৭১/আরআর/২০২২




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top