সাদা পাথর লুট: প্রভাবশালীর যোগসাজশে প্রশাসনের নীরবতা
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:১৪

সিলেটের ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পর্যটন এলাকায় মাত্র ৭ দিনে—৫ থেকে ১১ আগস্টের মধ্যে—লুট হয়ে গেছে প্রায় ৮০ শতাংশ পাথর।
জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের সরেজমিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সময় পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো—কোনো সংস্থাই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। স্থানীয় প্রভাবশালী, রাজনৈতিক নেতা ও একজন ইউপি চেয়ারম্যান পর্যন্ত এই লুটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
প্রশাসনের তথ্যমতে, কয়েক হাজার লোক একসঙ্গে প্রায় এক হাজার নৌকা নিয়ে মবের মতো নেমে পড়ে এবং মাত্র কয়েক দিনে পাথর তুলে ফেলে। নিরাপত্তাহীনতা, অতিরিক্ত বৃষ্টি আর পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে প্রশাসন তা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়।
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যৌথবাহিনীর ২৪ ঘণ্টা টহলের কথা থাকলেও সরেজমিনে কোনো বাহিনী বা ট্যুরিস্ট পুলিশের উপস্থিতি ছিল না। ফলে সুযোগসন্ধানীরা নির্বিঘ্নে লুট চালাতে পেরেছে।
ইতোমধ্যে সাড়ে ৪ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ ও আংশিক প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তবে আসল ক্ষতির পরিমাণ অজানা।
কমিশন ১২ দফা সুপারিশ করেছে—এর মধ্যে আছে পর্যটন এলাকায় সিকিউরিটি ফেন্সিং, পরিবেশবান্ধব ওয়াকওয়ে, অবৈধ উত্তোলনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, এবং নিয়মিত তথ্য সংরক্ষণ ও মনিটরিং ব্যবস্থা। সাদা পাথর লুটের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতা ও প্রভাবশালীদের সংশ্লিষ্টতা এখন দেশজুড়ে আলোচনায়।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।