রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ! এনসিপি নেতাদের গাড়িবহরে হামলা, ১৪৪ ধারা জারি
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৭:৪৪

গোপালগঞ্জ—একসময় শান্ত শহর, আজ যেন রণক্ষেত্র! জাতীয় নাগরিক পার্টি—এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ ঘিরে সহিংসতায় উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা জেলা। আজ বুধবার, দুপুরে সমাবেশ শেষে ফিরে যাওয়ার পথে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
সরাসরি সড়ক অবরোধ, লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয় কয়েকশ’ লোক। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, জেলা প্রশাসন গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করে। ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান।
সকাল থেকেই গোপালগঞ্জে ছিল থমথমে পরিবেশ। নাহিদ ইসলাম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ এখনো সমাবেশে পৌঁছাননি, তার আগেই হামলা চলে মঞ্চে। ২০০ থেকে ৩০০ জন লাঠিসোঁটা হাতে ঘিরে ফেলে সমাবেশস্থল।
পুলিশ তখন আশেপাশে থাকলেও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। পালিয়ে যায় পুলিশও, আদালত চত্বরে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
এরপরেই মঞ্চে উঠে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে ভাষণ শেষ হতেই শুরু হয় আরও ভয়াবহ দৃশ্য। মাঠ ছেড়ে বের হতেই চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয় এনসিপি নেতাদের। তাদের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ফাঁকা গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। অবশেষে নেতাকর্মীরা বিকল্প পথে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী: বেলা পৌনে তিনটার দিকে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় এনসিপি নেতাদের গাড়িবহরে ফের হামলা হয়। পৌর পার্ক, কলেজ মোড় ও লঞ্চঘাট—সবই রূপ নেয় পুরোদস্তুর রণক্ষেত্রে। স্থানীয়রা আতঙ্কে; আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরমভাবে নড়বড়ে। সেনাবাহিনী এখনো মাঠে। সংঘর্ষ থামেনি।
শেষ কথা: গোপালগঞ্জের এই উত্তেজনা ইঙ্গিত দিচ্ছে—রাজনৈতিক অস্থিরতা আবারও ভয়াবহ দিকে মোড় নিতে পারে। ১৪৪ ধারা জারি হলেও, উত্তাপ থামেনি। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে উদ্বেগ। এই সহিংসতা গণতন্ত্রের পথকে কতটা রুদ্ধ করতে পারে?
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।