কারা ফটকে নোবেলের বিয়ে, দেনমোহর কত

এক সময় দুই বাংলার শ্রোতার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। অনেক সম্ভাবনা নিয়ে সংগীতাঙ্গনে যাত্রা শুরু হলেও সবটাই শেষের পথে নোবেলের। একের পর এক বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়ে সমালোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছেন নোবেল।

বিশেষ করে ড্রাগস ও নারী ঘটিত কারণে তার ইমেজ নষ্ট হয়েছে। বর্তমানে রয়েছেন তুমুল বিতর্কে। গানের মঞ্চ নয়, এখন তার ঠিকানা কয়েদখানায়। ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারের পর কয়েক সপ্তাহ ধরে সেখানেই রয়েছেন তিনি। তবে এবার সেই কারাগার থেকেই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন নোবেল।

নোবেলের বিরুদ্ধে প্রথম ধর্ষণের মামলা হয় ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। চট্টগ্রামের এক তরুণী পাঁচলাইশ থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ধর্ষণের মামলার রেশ কাটতে না কাটতেই ওই বছরের ১৫ নভেম্বর সালসাবিল মাহমুদকে ভালোবেসে বিয়ে করেন নোবেল। পরে দুজনের মধ্যে প্রতারণার অভিযোগ এনে ঝগড়া-বিবাদ ও ফেসবুকে স্ট্যাটাসের কারণে গণমাধ্যমের শিরোনাম হন। একপর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে তাদের।

নোবেল আবারও সমালোচিত হন যখন ইডেন কলেজের ছাত্রী তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। এরই মধ্যে টাঙ্গাইলের সেই নারীর করা মামলায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন নোবেল।

ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত ২০ মে থেকে কারাগারে আছেন গায়ক নোবেল। সেদিন নোবেলের আইনজীবী আদালতের কাছে দাবি করেছিলেন, যে নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন, তিনি তার স্ত্রী। তিনি ধর্ষণ করেননি। ওই নারীকে স্ত্রী হিসেবে দাবি করলেও আদালতে কাবিননামা জমা দিতে পারেননি নোবেলের আইনজীবী জসীম উদ্দিন। ওই নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয় নোবেলের বিরুদ্ধে।

ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার গায়ক নোবেলকে বিয়ে করার অনুমতি দেন আদালত। নোবেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার গত বুধবার এ আদেশ দেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের নির্দেশেই কারা ফটকে নোবেলের সঙ্গে ধর্ষণ মামলার বাদী সেই নারীর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েতে সাক্ষী হিসেবে দুজনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ঘনিষ্ঠজেনেরা। জানা গেছে, নোবেলের এবারের বিয়ে দেনমোহর ১০ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

প্রশ্ন একটাই— এই বিয়ে কি নোবেলের জীবনে নতুন শুরু, না কি পুরনো বিতর্কের নতুন মোড়? সময় হয়তো সেই উত্তর দেবে একদিন।