সাগর-রুনি হত্যা মামলা: ১২১তম বার পিছলো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক আদালতে হাজির হলেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি। ফলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ এটি নিয়ে ১২১ বার পেছালো।

দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে মামলার তদন্ত অগ্রগতি বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। এ সময় বিচারক মিনহাজুর রহমান তদন্ত কর্মকর্তার কাছে অগ্রগতি জানতে চান। উত্তরে আজিজুল হক বলেন, “উচ্চ আদালতের নির্দেশে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্ত শুরু হয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন ও ডিএনএ বিশেষজ্ঞদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। দুই জনের মিক্সড ডিএনএর তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু এখনো শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এজন্য প্রতিবেদন দিতে বিলম্ব হচ্ছে।”

এ সময় বিচারক বলেন, “আগের তদন্ত কর্মকর্তারাও একই কথা বলেছেন। আদালত আপনার অগ্রগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করছে। আপনি আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।”

এর আগে গত ১১ আগস্ট আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিল।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় নির্মমভাবে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রথমে শেরেবাংলা নগর থানা, পরে ডিবি ও র‌্যাব তদন্ত করলেও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। টাস্কফোর্সকে ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশনা থাকলেও ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো প্রতিবেদন জমা পড়েনি। মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ আটজন আসামি রয়েছে।