মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২

মাহরিন চৌধুরী, একজন শিক্ষিকার নামেই লেখা হলো আত্মত্যাগের গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০২৫, ১৩:৪৫

ছবি: সংগৃহীত

আজকের গল্পটা একজন শিক্ষিকার সাহস, দায়িত্ববোধ আর আত্মত্যাগের। তার নাম মাহরিন চৌধুরী। বয়স ৪২। পেশায় শিক্ষিকা—উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কো-অর্ডিনেটর।

২১ জুলাই, সোমবার দুপুর। মাইলস্টোন স্কুলের গেট দিয়ে প্রতিদিনের মতো শিশুদের হাত ধরে বের করে আনছিলেন মাহরিন। হঠাৎ... আকাশ থেকে ছুটে এলো মৃত্যু—বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয় স্কুল ভবনের সামনেই। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন।

কেউ দৌড়ায় প্রাণ বাঁচাতে, কেউ চিৎকার করে সাহায্য চাইছিল—কিন্তু মাহরিন চৌধুরী...তিনি বেরিয়ে যাননি। নিজে আগুনের ভেতর থেকেও চেষ্টা করে গেছেন আরও শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বের করে আনতে। সেই চেষ্টাই তাকে করে তোলে বীর, আর কেড়ে নেয় তার জীবন।

আগুন থেকে বাচ্চাদের বের করে আনার সময়, মাহরিন নিজে আগুনে পুড়ে ১০০ শতাংশ দগ্ধ হন। ভর্তি হন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। মৃত্যুর আগে লাইফ সাপোর্টে যাওয়ার আগ মুহূর্তে স্বামীকে বলেন—আমি বাচ্চাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছি।

তিনি ছিলেন একজন শিক্ষিকা, ছিলেন একজন মা, একজন বোন। তার দুই সন্তান আজ মায়ের মুখ হারিয়েছে, আর আমরা হারালাম একজন মানবিক হৃদয়ের মানুষকে। মাহরিন চৌধুরীর এই আত্মত্যাগ শুধু স্মরণীয় নয়—প্রেরণাদায়কও। তার মতো মানুষেরাই আমাদের মানবতা এখনো বাঁচিয়ে রাখে। 

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top