একটি স্কুল, একটি যুদ্ধবিমান, আর ৩২টি নিভে যাওয়া জীবন! উত্তরা ছিল যেন মৃত্যুপুরী!
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২৫, ১৪:০৭

২১ জুলাইয়ের দুপুরে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে নেমে এসেছিল মৃত্যু। বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন—আর তার সঙ্গে কান্না, চিৎকার আর বিভীষিকা।
সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩২ জন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৬৫ জন, যাদের বেশিরভাগই দগ্ধ—তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন শিশু নাফি, বয়স মাত্র ৯ বছর—দগ্ধ হয়েছিল শরীরের ৯৫ শতাংশ। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মঙ্গলবার রাত পৌনে ১টার দিকে সে চলে যায় না-ফেরার দেশে। নাফির মৃত্যু কেবল একটি নামের বিদায় নয়—এটি জাতির হৃদয়ে গভীর ক্ষত।
আহতদের অবস্থান: বার্ন ইনস্টিটিউট: ৪৬ উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল: ৬০ সিএমএইচ: ২৮, লুবনা, কুয়েত মৈত্রী, ইউনাইটেড, কুর্মিটোলা, শহীদ মনসুর আলী—সবখানেই ছড়িয়ে আছে আহত মানুষের হাহাকার।
চিকিৎসায় নিয়োজিত আছেন দেশের অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা। সরকার জানিয়েছে, প্রয়োজনে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসক আনার প্রস্তুতি রয়েছে।
৩২টি প্রান। তাদের কেউ ছিল শিক্ষার্থী, কেউ শিক্ষক, কেউ পথচারী। এই মৃত্যু কোনো সংখ্যা নয়—এটা জাতির বুকের ভাঙা হাড়। এই দুর্ঘটনার দায় কার? কে নেবে এই প্রাণহানির দায়িত্ব? আমরা শুধু শোক জানাবো, না কি এবার জবাবদিহি চাইব?
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।