ফেসবুকে বিপ্লব, বাস্তবে ব্ল্যাকমেইল! ধরা খেলেন ছাত্রনেতা রিয়াদ
চাঁদাবাজির ফাঁদ: গুলশানে ধরা বৈষম্যবিরোধী নেতা রিয়াদের মুখোশ খুলে গেল!
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৭:২৭

ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান। আর সেখানেই ঘটলো চাঞ্চল্যকর এক নাটকীয় গ্রেপ্তার! চাঁদাবাজির অভিযোগে ধরা পড়লেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর শীর্ষ নেতারা। সবার নজর এখন এক ব্যক্তির দিকে—আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদ। এই সেই রিয়াদ, যার ফেসবুক ভরা ছিলো আদর্শ আর নৈতিকতার বুলি দিয়ে। কিন্তু বাস্তবে? চিত্রটা ভয়ংকর ভিন্ন!
১৭ জুলাই—সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে রিয়াদ ও তার সঙ্গী দাবি করেন ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার। হুমকি ছিল—টাকা না দিলে আওয়ামী লীগের দোসর বানিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেব! বাধ্য হয়ে দেওয়া হয় ১০ লাখ টাকা!
২৬ জুলাই—তারা ফের আসে বাকি ৪০ লাখ চাইতে। তখনই পুলিশকে জানানো হয়, গুলশান থানা এসে হাতেনাতে ধরে ফেলে চাঁদাবাজদের। গ্রেপ্তারের সময় তারা হুমকি দেয়—থানা জ্বালিয়ে দেব, তোমাদের চাকরি খাবো! এদিকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর আশপাশের এলাকা থেকে আসতে থাকে আরও অভিযোগ—বাড্ডা, বনানী, গুলশান—সবখানে তাদের তাণ্ডবের গল্প!
রিয়াদের পুরনো ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল—রাজনীতি তাদেরই করা উচিত যারা মানুষের সেবা করতে চায়। আরেকটিতে লেখেন—আজান দেয় বাটপার, ইমামতি করে খুনি, নামাজ পড়ে চোর! আর এখন? তার নামই জড়িয়ে গেছে চাঁদাবাজির মামলায়!
ভাইরাল হয় ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি’ পরিচয়পত্র—কিন্তু সরকার বলছে—পুরোটাই ভুয়া! এখন প্রশ্ন—এটা শুধু বিচ্যুতি, না পরিকল্পিত চাঁদাবাজি চক্রের এক মুখোশ? সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই বলছেন—এই তো শুধু শুরু, শেকড় আরও গভীরে!
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।