মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২

ঢাবি ছাত্রদল নেতা নাছির অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার | ঢাকা | প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৪৭

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা এক ব্যবসায়ীকে গুলশান এলাকা থেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছেন। পুলিশ ইতোমধ্যে ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন শাওন এবং মোহাম্মদ ইদ্রিস (৪৬) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গুলশান থানা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে নাছির উদ্দিন শাওন ও ইদ্রিসকে আটক করা হয়। পরদিন শনিবার তাদের পুরান ঢাকার সিএমএম আদালতে পাঠানো হয়েছে।

অপহৃত ব্যবসায়ী শেখ নাঈম আহমেদ, রাজধানীর পান্থপথ এলাকার ‘ট্রিপজায়ান’ নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সির মালিক। তিনি গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় নাছির উদ্দিন শাওন, মোহাম্মদ ইদ্রিসসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮–১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন,

“৯ অক্টোবর দুপুরে গুলশান-১ এ মিটিং শেষে বিসমিল্লাহ হানিফ বিরিয়ানিতে খাওয়ার পর বিকালে শাওন ফোন করে দুবাই টিকিটের কথা বলে আমার অবস্থান জানতে চান। কিছুক্ষণ পর শাওন, ইদ্রিস ও আরও কয়েকজন এসে আমাকে ঘিরে ধরে পাশের এক রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়।”

ভুক্তভোগীর দাবি, অপহরণকারীরা তার ফোন, ল্যাপটপ ও মানিব্যাগ নিয়ে নেয় এবং ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অস্বীকৃতি জানালে তাকে গুলশান লেকপাড়ে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করা হয়।

পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে মোটরসাইকেলে করে হাতিরঝিল সংযোগ সড়কে নিয়ে যাওয়ার সময় যৌথ বাহিনীর চেকপোস্টে পৌঁছালে শাওনসহ কয়েকজন পালিয়ে যায়। ইদ্রিসকে ঘটনাস্থলেই আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

ঘটনার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর আলম ভূঁইয়া ইমন, এবং দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামিসহ একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কেউ মন্তব্য দিতে রাজি হননি।

ঢাবি ছাত্রদল নেতা শেখ তানভীর বারী হামিম বলেন,

“অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত এখনো জানি না। সম্ভবত সেই কারণেই নেতৃবৃন্দ ফোন ধরছেন না।”

গুলশান থানার এক দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেন,

“মামলাটি রুজু হয়েছে, তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।”

তবে থানার ওসি, তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিসি (গুলশান)-এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top