হান্নান মাসউদের আসনে প্রার্থী হলেন তার বাবা,ভিন্ন দল ও প্রতীকে মুখোমুখি বাবা–ছেলের লড়াই
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:০৭
নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) সংসদীয় আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যতিক্রমী ও আলোচিত এক নির্বাচনী লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন স্থানীয় ভোটাররা। একই পরিবারের বাবা ও ছেলে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় এলাকায় চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
এই আসনে বাবা আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) প্রার্থী হিসেবে একতারা প্রতীকে এবং তার ছেলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ শাপলা কলি প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামের কাছে বাবা ও ছেলে উভয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
বাবা–ছেলের একসঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে নানা আলোচনা। কেউ এটিকে নবীন ও প্রবীণের প্রতীকী লড়াই হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ মনে করছেন এটি রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ভিন্ন কৌশল। বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের প্রার্থী বিন্যাস ভোটের মাঠে শক্তির ভারসাম্য ও নির্বাচনী পরিবেশে প্রভাব ফেলতে পারে। এতে উন্নয়ন ও নীতি আলোচনার বদলে ব্যক্তিকেন্দ্রিক আলোচনাই প্রাধান্য পেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
জানা গেছে, নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে এবারের নির্বাচনে মোট ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী থেকে অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, বিএনপি থেকে মো. মাহবুবুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে আবদুল হান্নান মাসউদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ ফজলুল আজিম, শামীমা আজিম, তানভীর উদ্দিন রাজিব ও মুহাম্মদ নুরুল আমীন মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
এ ছাড়া জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে এ টি এম নবী উল্যাহ ও নাছিম উদ্দিন মো. বায়েজীদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) থেকে মোহাম্মদ আবদুল মোতালেব, গণ অধিকার পরিষদ থেকে মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম শরীফ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) থেকে মোহাম্মদ আবুল হোসেন এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) থেকে আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আব্দুল হান্নান মাসউদ সাংবাদিকদের বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী বাংলাদেশের আন্দোলনে আমি সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলাম। তবে ভোটের অভিজ্ঞতা আমার জন্য একেবারেই নতুন। ভোটার হওয়ার পর এখন পর্যন্ত কোনো জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। এই আসনের বাকি ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে আমার বাবা একজন প্রবীণ ও অভিজ্ঞ মানুষ। তার মনোনয়নপত্র দাখিল করাকে আমি উৎসাহিত করেছি। ভোটের মাঠে তার কাছ থেকেও শেখার সুযোগ থাকবে। আমি শাপলা কলি প্রতীকে লড়ব এবং বাবার এই নির্বাচনী লড়াইকেও আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।”
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।