সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২

ডিম খাওয়ার আগে নিরাপদ কিনা বুঝবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:৪৫

ছবি: সংগৃহীত

ডিম দেখতে একই রকম হলেও সব ডিম খাওয়ার উপযোগী নাও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নষ্ট বা দূষিত ডিম স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। তাই রান্না বা সেদ্ধ করার আগে ডিমের মান ও সতেজতা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি।

ডিম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। তবে পচা ডিম খেলে খাদ্যে বিষক্রিয়া, পেটের সমস্যা এমনকি দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আরও সতর্ক করেছেন, কিছু ডিমে নিষিদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান নাইট্রোফিউরান থাকতে পারে, যা দীর্ঘদিন শরীরে জমে ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারে। এজন্য ডিম ব্যবহারের আগে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।

ঘরে বসেই ডিম নিরাপদ কিনা বোঝার ৭টি সহজ উপায়

১. পানিতে ভাসানোর পরীক্ষা (ফ্লোট টেস্ট)

  • একটি পাত্রে ঠান্ডা পানি নিন।

  • ডিমটি পানিতে দিন।

  • ডিম যদি তলায় ডুবে সমানভাবে শুয়ে থাকে, তবে তা একেবারে টাটকা।

  • ডুবে দাঁড়িয়ে থাকলে ডিম পুরোনো হলেও খাওয়ার উপযোগী।

  • ডিম যদি ভেসে ওঠে, তবে তা নষ্ট—সঙ্গে সঙ্গে ফেলে দিন।

২. গন্ধ পরীক্ষা

  • ডিম ভেঙে আলাদা পাত্রে নিন।

  • টাটকা ডিমে তেমন কোনো গন্ধ থাকে না।

  • পচা ডিমে তীব্র ও দুর্গন্ধ পাওয়া যায়।

৩. খোসা পরীক্ষা

  • ডিমের খোসায় ফাটল, আঠালো ভাব বা ছত্রাক থাকলে তা নষ্ট হওয়ার ইঙ্গিত।

  • এমন ডিম ব্যবহার না করাই নিরাপদ।

৪. ঝাঁকিয়ে শোনার পরীক্ষা

  • ডিম কানের কাছে ধরে হালকা ঝাঁকান।

  • ভেতরে পানির মতো শব্দ হলে ডিমটি পুরোনো।

  • টাটকা ডিমে কোনো শব্দ শোনা যায় না।

৫. ভাঙার পর অবস্থা দেখুন

  • ভালো ডিমে কুসুম শক্ত ও গোলাকার হয়।

  • সাদা অংশ ঘন ও স্বচ্ছ থাকে।

  • রঙ বা গঠনে অস্বাভাবিকতা থাকলে ডিম ফেলে দিন।

৬. প্যাকেটের তারিখ পরীক্ষা করুন

  • বাজার থেকে কেনার সময় ডিমের কার্টনের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেখুন।

  • ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে ডিম তুলনামূলক বেশি দিন ভালো থাকে।

৭. আলোতে পরীক্ষা (ক্যান্ডলিং টেস্ট)

  • অন্ধকার ঘরে মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট ডিমের ওপর ধরুন।

  • টাটকা ডিমে আলো সহজে ভেতরে প্রবেশ করে।

  • পুরোনো ডিমের ভেতরটা ম্লান বা অস্বচ্ছ দেখায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সহজ পরীক্ষাগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে নষ্ট বা দূষিত ডিম থেকে সৃষ্ট স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেকটাই এড়ানো সম্ভব। রান্নার আগে ডিম পরীক্ষা করা ছোট অভ্যাস হলেও এটি খাদ্যনিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

সূত্র: সামা



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top