বৃহঃস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২

নেপালের কেপি শর্মা অলি

ভারত বিরোধিতার কারণেই প্রধানমন্ত্রিত্ব হারালাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২:৫৮

ছবি: সংগৃহীত

স্পর্শকাতর বিষয়ে ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানানোয় প্রধানমন্ত্রিত্ব হারাতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নেপালের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি।

 

গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) জেন-জির বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন অলি। পদত্যাগের পর গুঞ্জন ওঠে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তবে জানা গেছে, তিনি এখনো নেপালেই অবস্থান করছেন এবং সেনাবাহিনীর শিবপুরি ব্যারাকে রয়েছেন।

 

আজ বুধবার নিজ দলের মহাসচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে অলি বলেন,

“যদি আমি লিপুলেখ অঞ্চল নিয়ে প্রশ্ন না তুলতাম এবং অযোধ্যা ও দেবতা রাম নিয়ে কথা না বলতাম, তাহলে হয়তো ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। আমি ক্ষমতা হারিয়েছি কারণ অযোধ্যায় দেবতা রামের জন্ম হয়েছে—এই দাবির বিরোধিতা করেছিলাম।”

 

লিপুলেখ বিরোধ নিয়ে অলি

ভারত-নেপাল সীমান্তে লিপুলেখ গিরিপথ ও কালাপানি অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তি অনুযায়ী কালী নদীর উৎপত্তিস্থলকে সীমান্ত ধরা হলেও তার অবস্থান নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।

 

নেপালের দাবি, কালী নদীর উৎপত্তি লিম্পিয়াধুড়া থেকে, ফলে কালাপানি ও লিপুলেখ নেপালের ভূখণ্ড। অপরদিকে, ভারত দাবি করে নদীটি কালাপানি গ্রামের কাছে শুরু হয়েছে, তাই অঞ্চলটি তাদের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের অংশ।

 

অলির সরকার এ বিষয়ে কড়া অবস্থান নেয় এবং ঘোষণা দেয়, “মহাকালী নদীর পূর্ব দিকের লিম্পিয়াধুড়া, লিপুলেখ ও কালাপানি নেপালের অবিচ্ছেদ্য অংশ।”

 

 

অযোধ্যা ও দেবতা রামকে ঘিরে বিতর্ক

২০২০ সালে অলি দাবি করেছিলেন, দেবতা রাম ভারতের নয়, নেপালের জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন, প্রকৃত অযোধ্যা নেপালের পূর্ব বীরগঞ্জে অবস্থিত এবং ভারত একটি “ভুয়া অযোধ্যা” তৈরি করেছে।

 

তখন তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, “ভারতের রাম কীভাবে নেপালের জনকপুরের সীতাকে বিয়ে করেছিলেন? প্রাচীন আমলে দূরের রাজ্যে বিয়ের প্রচলন ছিল না।”

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top