৩ ভুলে স্মার্টফোনের ব্যাটারি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারী ২০২৩, ০৭:৩৯

স্মার্টফোন

আট-থেকে আশি সব বয়সী মানুষই নানা কারণে ব্যবহার করছেন স্মার্টফোন। একবিংশ শতাব্দীতে এসে স্মার্টফোন ছাড়া জীবন প্রায় অচল। শুধু যোগাযোগের মাধ্যমই নয় আরও অনেক কাজে ব্যবহার হচ্ছে স্মার্টফোনটি। বাচ্চাদের অনলাইন ক্লাস থেকে আপনার অফিস মিটিং করোনাকালে বিশ্বব্যাপী গ্যাজেটটির চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি।

তবে সঠিকভাবে এর ব্যবহার না করেন তাহলে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে খুব শিগগিরই। স্মার্টফোন ব্যবহারে কিছু ভুল আমরা প্রায়ই করে থাকেন। যেমন ধরুন স্মার্টফোনকে ওভার চার্জ করা, সঙ্গে নিয়ে ঘুমানো কিংবা অ্যাডাপ্টার পরিবর্তন করে চার্জ দেওয়া। এসব ভুলে খুব তাড়াতাড়ি স্মার্টফোনের ব্যাটারি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৩ ভুল যা স্মার্টফোন ব্যবহারে করা যাবে না

সারারাত স্মার্টফোন চার্জিং নয়
না জেনেই বেশিরভাগ মানুষ সারারাত ফোন চার্জে দিয়ে রাখেন। আপনারও যদি এই অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে এখনই তা বদলে ফেলুন। কারণ ফোন ফুল চার্জ হওয়ার পরেও চার্জার কানেক্ট করে রাখলে কমতে থাকে ব্যাটারির আয়ু। ফলে এই অভ্যাস দিনের পর দন জারি রাখলে তাড়াতাড়ি আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারির কার্যক্ষমতা হারাবে।

আরও পড়ুন: খেজুরের কাঁচা রস পানের ৩ দিন পর শিশুর মৃত্যু

প্লাগ থেকে চার্জার খুলে রাখুন
আমাদের অনেকেরই অভ্যাস চার্জার সারাক্ষণ প্লাগে লাগিয়ে রাখি। জানেন কি? আপনার এই অভ্যাস স্মার্টফোনের ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দেয় কয়েকগুণ। নতুন কিছু স্মার্টফোন আছে যেগুলো ফুল চার্জ হলে চার্জিং নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সেই সময়ও চার্জার থেকে কারেন্ট আসে। এই কারণে ফোন ফুল চার্জ হলে চার্জার প্লাগ থেকে খুলে নিন। অথবা চার্জারের সুইচ বন্ধ করে দিতে পারেন। ফোন চার্জ সম্পূর্ণ হওয়ার পরেও চার্জার লাগিয়ে রাখবেন না।

রোদে স্মার্টফোন চার্জে রাখবেন না
স্মার্টফোন চার্জ দেওয়ার সময় আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখুন, সেটি হচ্ছে-অতিরিক্ত গরম কোনো জায়গায় ফোন চার্জ করবেন না। অতিরিক্ত গরমে ফোন চার্জ করলে তার প্রভাব সরাসরি ফোনের উপরে পড়ে। এছাড়াও ফোন চার্জিংয়ের সময় তা ব্যবহার না করা ভালো। ফোন চার্জিংয়ের সময় ব্যবহার করতে বাড়তে থাকে ব্যাটারির তাপমাত্রা। যা আসলে ব্যাটারির ক্ষতি করে। ২০ শতাংশ চার্জ থাকতেই স্মার্টফোন চার্জে দিন এবং ৯৯ শতাংশ হলেই খুলে ফেলুন।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top