রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ‘হিমালয় কন্যা’ নেপাল ভ্রমণে যেভাবে যাবেন

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫০

সংগৃহীত

সারা বছরের কাজের ব্যস্ততা শেষে কিংবা স্কুলের পরীক্ষার পর ছুটির মৌসুমে ভ্রমণপ্রিয় বাংলাদেশীরা এখন পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালের দিকেই বেশি ঝুঁকছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর হিমালয় কন্যা নেপাল কেবল মনোমুগ্ধকরই নয়, বরং এটি বাংলাদেশীদের জন্য একটি সহজলভ্য ও কম খরচের গন্তব্য।

নেপাল ভ্রমণের অন্যতম সুবিধা হলো—বাংলাদেশীদের জন্য কোনো ভিসা প্রয়োজন নেই। কেবল নেপালের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে একটি অনলাইন ফর্ম পূরণ করে প্রিন্ট কপি সঙ্গে রাখলেই হয়। এতে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে কোনো জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় না।

ভ্রমণপিপাসুদের জন্য বাংলাদেশ থেকে নেপাল যাওয়ার দুটি প্রধান মাধ্যম রয়েছে—বিমান ও বাস।

বিমানযোগে: ঢাকা থেকে কাঠমুন্ডু পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। খরচ পড়ে আনুমানিক ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকা।

বাসযোগে: বাসে গেলে খরচ তুলনামূলকভাবে কম, প্রায় ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। তবে সময় লাগে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ঘণ্টা। বাংলাদেশের শ্যামলী পরিবহন, গ্রীন লাইন ও সাদিক পরিবহন নিয়মিতভাবে নেপাল রুটে যাতায়াত করে।

নেপাল ভ্রমণে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানী কাঠমুন্ডু, পাহাড়ি শহর পোখরা এবং দর্শনীয় স্থান নাগরকোট।

এছাড়াও ঐতিহাসিক বসন্তপুর দরবার স্কয়ার, শম্ভুনাথ মন্দির, ভক্তপুর দরবার স্কয়ার, বুদ্ধনাথ মন্দির ইত্যাদি দর্শনীয় স্থানে প্রতিদিন ভিড় থাকে দেশি-বিদেশি পর্যটকে।

বিশেষ করে নাগরকোট থেকে দেখা যায় হিমালয়ের ১৩টি পর্বতশৃঙ্গের মধ্যে ৮টি। এখানকার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য পর্যটকদের মনে গেঁথে থাকে চিরদিনের মতো।

থাকার জন্য ভ্রমণকারীরা কাঠমুন্ডুর থামেল এলাকা বেছে নিতে পারেন। এখানেই রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির হোটেল—স্বল্প বাজেট থেকে বিলাসবহুল পর্যন্ত। অনলাইনে সহজেই বুকিং দেওয়া যায়।

নেপাল ভ্রমণে খরচ তুলনামূলক কম হওয়ায় এবং সার্কভুক্ত দেশ হওয়ার কারণে বাংলাদেশী পর্যটকরা অধিকাংশ দর্শনীয় স্থানের প্রবেশ টিকিটেও পান এক-তৃতীয়াংশ মূল্যছাড়।

 

নিফ্লা৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top