নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন:
পরাজয়ের পর ট্রাম্পের তত্ত্ব, মামদানির জবাব
নিউইয়র্ক থেকে | প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২১
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। নির্বাচনে রিপাবলিকানদের পরাজয়ের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব ব্যাখ্যা দিয়েছেন — দেশের চলমান সরকারি ‘শাটডাউন’ এবং ব্যালটে তার নাম না থাকা—এগুলোকে কারণ হিসেবে তুলে ধরে তিনি ফলকে রিপাবলিকান পক্ষের ব্যর্থতা বলে ব্যাখ্যা করেন।
গত রাতে সিনেটরদের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী প্রাতঃরাশের সময় ট্রাম্প বলেন, নিউইয়র্কে নির্বাচনের ফল ‘একটি আকর্ষণীয় সন্ধ্যা’ ছিল। তিনি জানান, অনেক কিছু শিখেছেন এবং তা নিয়ে আলোচনা করবেন। ট্রাম্পের বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে যে জরিপকারীরা মনে করছেন দীর্ঘ চলমান শাটডাউন—যা তারা ‘ডেমোক্র্যাটদের সৃষ্টি করা বিপর্যয়’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন—রিপাবলিকানদের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তিনি আরও যোগ করেন, নিজের নাম ব্যালটে না থাকা—অর্থাৎ তিনি সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী না হওয়াও বড় একটি কারণ হিসেবে কাজ করেছে।
ট্রাম্প শাটডাউনকে ‘ইতিহাসের দীর্ঘতম’ বলে উল্লেখ করেন এবং সিনেটে ‘ডেমোক্র্যাট উগ্রপন্থি’ নেতাদের সরকার পুনরায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে আগ্রহহীনতা আখ্যা দেন।
নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি ট্রাম্পের ওপর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। ব্রুকলিনের প্যারামাউন্টে সমর্থকদের সামনে তিনি বলেন, “যদি এমন কেউ আছে—যে কোনো শহর ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একজনকে হারানোর কৌশল শিখতে পারে—তাহলে তা হলো নিউইয়র্ক।” তাঁর ভাষ্য, কোনো স্বৈরশাসককে হারানোর একমাত্র উপায় হলো সেই ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা যা তাকে ক্ষমতায় যেতে সাহায্য করেছে।
মামদানির আরও বক্তব্য ছিল, তাঁর প্রশাসন জমি ও বাড়ির মালিকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনবে এবং তিনি জানান নিউইয়র্ক “অভিবাসীদের শহর” হিসেবে থাকবে—অভিবাসীদের হাতেই এই শহরের নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। সমর্থকরা তাঁর এই উক্তিতে করতালিতে মেতে ওঠেন।
ট্রাম্প আগে থেকে মামদানিকে সংক্ষিপ্তভাবে আক্রমণ করে ‘কমিউনিস্ট’ ও ‘পাগল’ বলে কটাক্ষ করেছেন এবং হুমকি উচ্চারণ করেছিলেন যে মেয়র হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি যদি দায়িত্ব নেন তাহলে নিউইয়র্ককে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে বঞ্চিত করা হতে পারে—কিন্তু এসব হুমকি মামদানির বিজয়কে থামাতে পারেনি।
-
ট্রাম্পের কথায় শাটডাউন শুরু হয়েছিল ১ অক্টোবর থেকে, এবং তিনি এটিকে দেশের দীর্ঘতম বলে উল্লেখ করেছেন।
-
নির্বাচনের ফল ও এই বিতর্কটি রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে—বিশেষত অভিবাসন ও শহরের বাসস্থানের নীতির উপর ভবিষ্যৎ আলোচনার ধারায় তা প্রভাব ফেলবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।