শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২

বাংলাদেশিদের জন্য স্বপ্নের গন্তব্য বালি

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৫

সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন স্বর্গ বালি এখন বাংলাদেশি ভ্রমণপ্রেমীদের কাছেও ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পাহাড়, সমুদ্র ও প্রাচীন মন্দিরের এই দ্বীপে যেতে বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ কোনো ঝামেলাও নেই— ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করা যায় সেখানে।

ভিসা ছাড়াই বালিতে প্রবেশ

বালিতে ভ্রমণে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আলাদা ভিসা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কেবলমাত্র বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে পাসপোর্টে আগমনী সিল (Arrival Stamp) নিতে হয়। এখানে কোনো ফরম পূরণ বা আলাদা ফি জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই— এটি কার্যত “ভিসা অন অ্যারাইভাল”-এর মতোই সহজ প্রক্রিয়া।

যাতায়াত ও খরচ

ঢাকা থেকে বালির ফ্লাইটভাড়া সাধারণত ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকার মধ্যে পড়ে। তবে এটি নির্ভর করে অন বা অফ সিজনের ওপর।

বালিতে নামার পর একটি স্থানীয় সিম কার্ড নিতে পারেন— দাম প্রায় ১,৯০০ থেকে ২,০০০ টাকা।

হোটেল ও খাবারের খরচ

বালিতে হোটেলের খরচ তুলনামূলকভাবে যুক্তিসঙ্গত। ভালো মানের থাকার জায়গা পাওয়া যায় প্রতি রাত ১,৫০০ থেকে ২,৫০০ টাকার মধ্যে।

খাবারের খরচ পুরোপুরি নির্ভর করে আপনি কোথায় খাচ্ছেন তার ওপর। দামি রেস্তোরাঁয় খেতে চাইলে খরচ হবে ৬০০ থেকে ১,১০০ টাকা পর্যন্ত। আবার স্থানীয় স্ট্রিট ফুড, যেগুলো “ওয়ারং” নামে পরিচিত, সেখানেও সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায় ২৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে।

এখানে ভারতীয় ও দক্ষিণ এশীয় রেস্টুরেন্টেও আমাদের দেশের স্বাদের মতো খাবার মেলে।

কেনাকাটা ও যাতায়াত

বালির রাস্তাঘাটে ও ফুটপাতে নানা ধরনের হস্তশিল্প ও স্মারকপণ্য বিক্রি হয়। তবে দাম কিছুটা বেশি— তাই দামাদামি করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

যারা বাইক চালাতে পারেন, তারা ভাড়ায় বাইক নিতে পারেন প্রতি দিন ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, তেলের খরচ আলাদা। চাইলে ভাড়া গাড়িতেও দ্বীপের নানা স্থান ঘোরা যায়।

অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য স্বর্গ

বালি হলো অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের অন্যতম প্রিয় স্থান। এখানে প্যারাগ্লাইডিং, প্যারাসেলিং, জিপলাইন, বাঞ্জি জাম্পিং, বালি সুইংসহ নানা রোমাঞ্চকর এক্টিভিটিসের সুযোগ রয়েছে। প্রতিটি কার্যক্রমের জন্য আলাদা টিকিট নিতে হয়।

এছাড়া বিভিন্ন নৈসর্গিক স্পট বা মন্দিরে প্রবেশের সময় ও ছবি তোলার জায়গায়ও নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়।

কোথায় কোথায় ঘুরবেন

বালিতে পুরোপুরি ঘুরে দেখতে সময় লাগে প্রায় দুই সপ্তাহ। ভ্রমণকারীরা সাধারণত শুরু করেন সাউথ বালি থেকে।

কুটা বিচ: সার্ফিংয়ের জন্য বালির সবচেয়ে জনপ্রিয় সৈকত।

উলুয়াটু টেম্পল: সমুদ্রের ধারে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক মন্দির, সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখার জন্য দারুণ জনপ্রিয় স্থান।

এ ছাড়াও উবুদ, সেমিনিয়াক, নুসা পেনিদা, তানাহ লট টেম্পলসহ অসংখ্য মনোরম জায়গা রয়েছে, যেগুলো বালির সৌন্দর্যের প্রকৃত রূপ ফুটিয়ে তোলে।

 

 

নিফ্লা৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top