মুন্সিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন
নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩৪

মুন্সিগঞ্জ সদরে ১৪ বছর আগে কচুরিপানার ভেতর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আদালত ৭ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন। পাশাপাশি হত্যা করে লাশ গুম করার অপরাধে পৃথক ধারায় প্রত্যেককে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক খালেদা ইয়াসমি উর্মি এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আলেয়া বেগম ওরফে আলো বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর ৬ আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আলেয়া বেগম (৩৫), সদর উপজেলার চরবেশনাল গ্রামের মৃত ওয়ালিদ বেপারীর স্ত্রী। আতু ওরফে হাতু (৪৫), মৃত মোসলেম আখনের ছেলে। মোহাম্মদ হোসেন (২৯), টংগিবাড়ী উপজেলার পুরা গ্রামের জৈনদ্দিন ঢালীর ছেলে। আলামিন খন্দকার (৩৩), চরবেশনাল গ্রামের সবদু খন্দকারের ছেলে। শহর আলী (২২), জুলহাস আকনের ছেলে। শহিদ আখন (৩৫), তোতা আখনের ছেলে। চাঁন মিয়া দেওয়ান (২০), খোরশেদ দেওয়ানের ছেলে।
২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর সদর উপজেলার আকালমেঘ পলাশপুর গ্রামের আমজাদ বেপারীর ছেলে ওয়ালিদ বেপারী (৩৮) শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। কয়েক দিন পর ৬ ডিসেম্বর কচুরিপানার ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মা হাফেজা খাতুন বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তে বিশেষ অভিযানে আসামি মোহাম্মদ হোসেনকে আটক করলে তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করেন এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। হত্যা মামলায় ৭ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কার্যকর হলো।”
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।