• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


পায়রা তাপ বিদ্যুৎ এর কারণে নারিকেল গাছ মারা যাচ্ছে !

বরগুনা থেকে | প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২১, ০২:০০

 

আমতলী ও তালতলী উপজেলা এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার অধিকাংশ নারিকেল গাছ শুকিয়ে আজ মৃতপ্রায়। সম্পূর্ণ কয়লা ভিত্তিক পায়রা তাপ বিদ্যুতের কারণে গাছের মাথা ও পাতা শুকিয়ে মারা যাচ্ছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। কিন্তু কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তারা এমন অভিযোগ মানতে অস্বীকার করছেন।

তাপবিদ্যুৎ এর কারণে গাছ গুলো মারা যাচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তিন উপজেলায় অর্থাৎ আমতলী-তালতলী ও কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখতে পারি- নারিকেল গাছ গুলো যেন নিথর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গাছে নেই কোন সবুজের সমাহার। পাতাগুলো সাদা ধূসর হয়ে পড়ে আছে। দূর থেকে মনে হয় পাতায় তুষার পড়ে আছে। গাছের মাথা একেবারে শুকিয়ে গেছে। গাছে ডাব- নারিকেল ঝুলতে কম দেখা গেছে। যা আছে তাও খুব ছোট। মনে হয় অপরিপক্ব ফল।

এভাবে ধীরে ধীরে গাছ শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। স্থানীয় নারিকেল চাষিরা অভিযোগ করে আমাদেরকে বলেন- আগের মত গাছে নারিকেল-ডাব হয় না। হলেও খুব ছোট হয়। তারা বলেন তাপবিদ্যুৎ এর ছাইয়ের কারণে অর্থাৎ ছাই পাতায় পড়ে পাতা মরে যাচ্ছে। ফলে গাছ শুকিয়ে চিকন হয়ে যায়। তাই নতুন করে নারিকেল গাছ রোপণে আমাদের অনীহা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ নিয়ে আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সি.এম. রেজাউল করিমকে প্রশ্ন করলে তিনি আমাদেরকে জানান- নারিকেল গাছ তাপবিদ্যুৎ এর ছাই কারণে মারা যাচ্ছে না। গাছগুলো এক প্রকার সাদা মাছি দ্বারা আক্রান্ত। পোকাটি বাংলাদেশে যশোর জেলায় প্রথম দেখা যায়। পানির ছিটা অথবা বৃষ্টির পানি এর উপদ্রব কমাতে পারে। মানুষের চেয়ে ফসলের জন্য বেশি ক্ষতিকর। কৃষি কর্মকর্তা বলেন বিগত বছরগুলোতেও এর উপদ্রব দেখা গেছে, তবে নারিকেল গাছে এবারেই প্রথম দেখা যাচ্ছে। তাই সকল চাষিকে প্রতিকারের জন্য স্থানীয় কৃষি অফিসে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১



বিষয়: বরগুনা


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top