লাইভ চলাকালে ইরানের টিভি ভবনে ইসরায়েলের হামলা, প্রেজেন্টার কী বললেন
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২৫, ০৯:০২

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তখন সরাসরি সম্প্রচার চলছে। ইসরায়েলের ‘আগ্রাসনের’ খবর পড়ছিলেন উপস্থাপিকা। এমন সময় সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আর সেই হামলায় ভবনের ধ্বংসস্তূপ যখন ওই প্রেজেন্টারের মাথার ওপর পড়তে শুরু করে ঠিক তখন তিনি সেখান থেকে সরে যান। হামলার পর ধোঁয়া–ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় সরাসরি সম্প্রচারের কক্ষ।
সোমবার ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিংয়ের (আইআরআইবি) ভবনে এই হামলা হয়। হামলার সময়ের একটি ভিডিও শেয়ার করেছে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। ভিডিওতে ওই নারী উপস্থাপিকাকে খবর পড়তে দেখা যায়। ওই উপস্থাপিকার নাম সাহার ইমামি। তিনি ইরানের সবচেয়ে খ্যাতিমান সংবাদপাঠকদের একজন।
হামলার কয়েক মুহূর্ত আগে ইমামি বলছিলেন, শুনুন, আপনারা যা শুনছেন তা হলো আক্রমণকারীর শব্দ। আপনারা সত্যের ওপর আগ্রাসনকারীর হামলার শব্দ শুনছেন। এর মধ্যেই টেলিভিশনে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়। সেই সঙ্গে সংবাদ পাঠিকার ওপর ধ্বংসাবশেষ উড়ে আসতে থাকে। তখন তিনি চেয়ার ছেড়ে উঠে যান।
হামলার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সম্প্রচার চলাকালেই স্টুডিও কাঁপতে শুরু করে। ধূলা ও ধোঁয়ায় ভরে যায় পর্দা। একপর্যায়ে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি শোনা যায় পেছন থেকে। একজন ব্যক্তি রক্তাক্ত হাতে দৌড়ে বেরিয়ে আসছেন বলেও ভিডিওতে দেখা গেছে।
স্ক্রিনে ভেসে ওঠা একটি টিকারে সম্প্রচারক বলেছেন, সমস্ত অনুষ্ঠান এখন নিরবচ্ছিন্নভাবে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। আরেকটি টিকারে লেখা হয়েছে, ইসরায়েল নির্মমভাবে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
এই হামলায় কিছু সময়ের জন্য টেলিভিশনটির সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। পরে আবারও সম্প্রচার শুরু হয়েছে। হামলায় ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। টেলিভিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সত্যের কণ্ঠস্বর রোধ করতেই এর ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
এর আগে সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম খুব শিগগিরই নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে। স্টুডিওতে ধ্বংসাবশেষ পড়া এবং উপস্থাপকের দ্রুত ক্যামেরার বাইরে চলে যাওয়ার দৃশ্যের স্ক্রিনগ্র্যাব এরইমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।