বৃহঃস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২

দেশে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ, ক্রেতাদের অস্থিরতা বৃদ্ধি

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কয়েকদিনের ব্যবধানে দ্বিগুণ হওয়ায় সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। রাজধানীর একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। পাইকারি বাজারে দাম ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, মৌসুম শেষে দেশি পেঁয়াজের যোগান কমে যাওয়ায় এবং ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে। রাজধানীর গুদারাঘাট কাঁচা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী রিপন মিয়া বলেন, “গতকাল বেচছি ১০০ টাকা, আজ মান ভেদে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারি বাজার থেকে যে দামে আমরা কিনতে পারি, সেভাবেই বিক্রি করতে হবে।”

চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ পড়েছে। তাদের মতে, চাহিদা মিটিয়ে না দিলে দাম আরও বাড়তে পারে।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, “দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের পরিমাণ যথেষ্ট, আমদানি করা প্রয়োজন নেই। বাজার তদারকি বাড়ালে কৃত্রিম সংকটের সুযোগ বন্ধ করা যাবে।”

বর্তমানে দেশে বার্ষিক পেঁয়াজের চাহিদা ২৫-২৭ লাখ টন। দেশীয় উৎপাদন প্রায় ২১ লাখ টন, ফলে বছরে প্রায় ৬ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। তবে নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কিছুটা বাড়তি থাকতে পারে।

রাজবাড়ীর কৃষক ছোরাপ আলী বলেন, “অন্য বছর অক্টোবরের মাঝামাঝি রবি মৌসুমের পেঁয়াজ ঘরে তোলা যেত। কিন্তু এবার উৎপাদন শুরু হতে দেরি হওয়ায় ঘরে তোলাও বিলম্ব হচ্ছে।”

বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরকার যদি আমদানির সুযোগ দেয়, তবে দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। ক্যাবের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, “লোকাল পণ্য থাকলে আমদানির সুযোগ সীমিত রাখুন, আর না থাকলে আমদানি অনুমোদন দিন। এভাবেই বাজার স্থিতিশীল রাখা সম্ভব।”



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top