শনিবার, ৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

ব্যাংক-ডাকঘরে মিলবে না ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২১, ২২:৫০

ব্যাংক-ডাকঘরে মিলবে না ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র

পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র তফসিলি ব্যাংকের শাখা বা ডাকঘর থেকে কেনা যাবে না। শুধু জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সঞ্চয় ব্যুরো থেকে কেনা যাবে।

মঙ্গলবার (১৮ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। আদেশ জারির দিন থেকেই নতুন এ আদেশ কার্যকর করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহান নিসু স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, সঞ্চয়পত্র বিধিমালা ১৯৭৭ এর বিধি ৫ এর উপবিধি ৫ ও ৬ অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে শৃঙ্খলা আনয়নের লক্ষ্যে উক্ত বিধিমালার বিধি-৩ এ যাই থাকুক না কেন ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ শুধু মাত্র জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘সঞ্চয় ব্যুরো’ কর্তৃক পরিচালিত হবে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।

ইহা জারির তারিখ থেকে কার্যকর হইবে।
জানা গেছে, বুধবার (১৯ মে) থেকে কোনো বিনিয়োগকারী যদি পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে চান, তাহলে শুধু সঞ্চয় অধিদপ্তরের শাখা অফিসগুলোতে যেতে হবে।

বর্তমানে সারা দেশে ৭০টির বেশি এমন সঞ্চয় ব্যুরো আছে। ১৯৭৭ সালে এ সঞ্চয়পত্র প্রবর্তন করে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের বাকি তিনটি সঞ্চয়পত্র—পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র নিয়ম অনুযায়ী আগের মতো ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে কেনা যাবে। একজন বিনিয়োগকারী একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা এবং যুগ্ম নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। সব শ্রেণি ও পেশার বাংলাদেশি নাগরিক এ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। নাবালকের পক্ষেও এ সঞ্চয়পত্র কেনা যায়।
সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে মুনাফা নিতে চাইলে মুনাফার হার দাঁড়াবে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তবে মেয়াদপূর্তির আগে নগদায়ন করলে প্রথম বছর শেষে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, তৃতীয় বছর শেষে ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ, চতুর্থ বছর শেষে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যাবে।

এনএফ৭১/আরএইচ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top