রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২

ইগো নিয়ন্ত্রণের ৫টি সহজ উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:০৫

সংগৃহীত

অহংকার বা ‘ইগো’ মানুষের সম্পর্ক ও মানসিক শান্তির বড় শত্রু। এটি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে আমরা অজান্তেই অন্যদের সঙ্গে তুলনা শুরু করি, প্রশংসা না পেলে হতাশ হই এবং কথাবার্তায় অন্যকে ছোট করে ফেলি। নিজের মধ্যে বিনয়, সহমর্মিতা ও আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে চাইলে ইগো নিয়ন্ত্রণ শেখা অত্যন্ত জরুরি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইগো নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মানুষ আরও ভারসাম্যপূর্ণ, শান্ত ও ইতিবাচক হতে পারে। চলুন জেনে নিই ইগো নিয়ন্ত্রণের ৫টি সহজ উপায়—

১. কখন ইগো বাড়ে, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন:

প্রথমেই বুঝতে হবে কোন পরিস্থিতিতে আপনার ইগো জাগে—তুলনা, আত্মরক্ষা বা নিজেকে ঠিক প্রমাণ করার চেষ্টায়? এমন মুহূর্তে একটু থামুন, শ্বাস নিন ও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। নিজের সীমাবদ্ধতা মেনে নিতে পারলেই অহংকার কমবে।

২. শেখার মানসিকতা রাখুন:

‘আমি সব জানি’—এই ভাবনা থেকেই ইগোর জন্ম। নিজেকে সবসময় শিক্ষার্থী মনে করুন, ভুল হলে স্বীকার করুন এবং নতুন কিছু শেখার আনন্দ নিন। শেখার মানসিকতা থাকলে ইগো মন দখল করতে পারবে না।

৩. অন্যদের জন্য কিছু করুন:

শুধু নিজের নয়, অন্যের মঙ্গলেও মন দিন। পরিবার, বন্ধু বা সহকর্মীদের পাশে থাকুন। সময় বা সামর্থ্য না থাকলেও একটি ভালো কথা বলাও সেবার সমান। অন্যকে সাহায্য করলে ইগো গলে যায়, জায়গা নেয় সহানুভূতি।

৪. মননশীলতা (Mindfulness) চর্চা করুন:

মননশীলতা আপনাকে নিজের চিন্তা ও অনুভূতির প্রতি সচেতন করে তোলে। এতে ‘আমি ভালো’, ‘আমি শ্রেষ্ঠ’ ধরনের ভাবনা মিলিয়ে যায়। আপনি আরও শান্ত, সহনশীল ও সহমর্মী হয়ে উঠবেন।

৫. নিজের উদ্দেশ্য নিয়ে ভাবুন:

নিজেকে প্রশ্ন করুন—আপনি যা করছেন, সেটা কি প্রশংসা পাওয়ার জন্য, নাকি সত্যিই ভালো কিছু করার জন্য? যখন কাজেই মনোযোগী হবেন, তখন অন্যের স্বীকৃতি না পেলেও মন শান্ত থাকবে।

মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইগো কমানো মানে আত্মসম্মান হারানো নয়, বরং এটি মানুষকে করে তোলে আরও পরিণত, নম্র ও মানসিকভাবে শক্তিশালী।

 

নিফ্লা৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top