পুরুষের বন্ধ্যত্বের কারণ ও প্রতিকার
লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৯
বর্তমানে দম্পতিদের সন্তান ধারণে সমস্যা বেড়েই চলেছে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, বন্ধ্যত্বের ক্ষেত্রে শুধু নারীর নয়, পুরুষেরও ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা বা গতি কমে যাওয়া, কিংবা কিছু ক্ষেত্রে শুক্রাণু না থাকা (অ্যাজোস্পার্মিয়া)—এসব কারণে অনেক সময় সন্তান ধারণ সম্ভব হয় না।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অবন্তি ঘোষ জানান, বন্ধ্যত্ব রোগীদের মধ্যে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পুরুষ বন্ধ্যত্বে ভোগেন।
পুরুষ বন্ধ্যত্বের কারণ
অতিরিক্ত ধূমপান, অ্যালকোহল ও নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন, ওজনের আধিক্য, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, হরমোনজনিত সমস্যা (টেস্টোস্টেরন, থাইরয়েড, প্রোলাকটিন), জিনগত কারণ, ইনফেকশন (ক্ল্যামিডিয়া, গনোরিয়া), শুক্রনালি ব্লকেজ, অণ্ডকোষের টিউমার বা ভেরিকোসিলি, এবং দীর্ঘ সময় গরম পরিবেশে কাজ করা—এসব কারণেই পুরুষ বন্ধ্যত্ব দেখা দিতে পারে।
রোগ নির্ণয়
ডা. অবন্তি জানান, “বীর্য পরীক্ষা করেই পুরুষ বন্ধ্যত্ব নির্ণয় করা সম্ভব। তিন দিন সহবাস বন্ধ রেখে পরীক্ষা করতে হয়। একটি রিপোর্ট খারাপ হলে এক মাস পর পুনরায় পরীক্ষা করতে হয়। দু’বারের রিপোর্টেই সমস্যা থাকলে অণ্ডকোষের আল্ট্রাসনোগ্রাফি (USG) ও হরমোন পরীক্ষা করা হয়।”
চিকিৎসা
চিকিৎসার শুরুতেই লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা জরুরি—
ওজন কমানো, নিয়মিত হাঁটাচলা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন, মানসিক চাপ কমানো এবং পর্যাপ্ত ঘুমের পরামর্শ দেন তিনি।
ডা. অবন্তি আরও জানান, “শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি বাড়াতে চিকিৎসকরা মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ওষুধ দেন এবং রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। উন্নতি হলে প্রাকৃতিকভাবে সন্তান ধারণের চেষ্টা করা যায়, নইলে আইইউআই, আইভিএফ বা আইসিএসআই-এর মতো বিকল্প চিকিৎসা নেওয়া যেতে পারে।”
যাদের বীর্যে কোনো শুক্রাণু পাওয়া যায় না, তাদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই (ICSI) পদ্ধতিই সবচেয়ে কার্যকর বলে জানান বিশেষজ্ঞ।
ডা. অবন্তি ঘোষ
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ
চেম্বার: আলোক হেলথকেয়া, মিরপুর-১০
নিফ্লা৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।