• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে চক্রের সন্ধান

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হুন্ডি, বছরে পাচার ৭৫ হাজার কোটি টাকা: সিআইডি

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:০৫

সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া

মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ব্যবহার করে এক বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা বা ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে হুন্ডি কারবারিরা। ইতোমধ্যে ডিজিটাল হুন্ডি ব্যবসায় জড়িত ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আক্তার হোসেন (৪০), দিদারুল আলম সুমন (৩৪), খোরশেদ আলম ইমন (২২), রুমন কান্তি দাস জয় (৩৪), রাশেদ মনজুর ফিরোজ(৪৫), হোসাইনুল কবির (৩৫), নবীন উল্লাহ (৩৭), জুনাইদুল হক (৩০), আদিবুর রহমান (২৫), আসিফ নেওয়াজ (২৭), ফরহাদ হোসাইন (২৫), আবদুল বাছির (২৭), মাহবুবুর রহমান সেলিম (৫০), আব্দুল আউয়াল সোহাগ (৩৬), ফজলে রাব্বি (২৭) ও শামীমা আক্তার (৩২)

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, আটককৃত ১৬ জনের মধ্যে ৬ জন বিকাশ এজেন্ট, ৩ জন বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার, ৩ জন বিকাশের ডিএসএস, ২ জন হুন্ডি এজেন্ট, একজন হুন্ডি এজেন্টের সহযোগী ও একজন হুন্ডি পরিচালনাকারী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে গত চার মাসে ২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা পাচার হয়েছে।

তিনি বলেন, সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স আরও তদন্ত করে জানতে পারে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হুন্ডির সঙ্গে বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায়ের ৫ হাজার এজেন্ট জড়িত। তারা গত চার মাসে ২৫ হাজার কোটি এবং এক বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে।

সিআইডি প্রধান বলেছেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অবৈধ এজেন্টরা তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে অবৈধ হুন্ডি করে থাকে। বিদেশে তাদের একটি চক্র প্রবাসীদের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহ করে।  সেই চক্রের বাংলাদেশি এজেন্টরা টাকা পাচারকারীদের কাছ থেকে সমপরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে প্রবাসীদের স্বজনদের পরিশোধ করে। পরে টাকা পাচারকারী বিদেশের এজেন্টের কাছ থেকে টাকা সেই দেশ থেকে নিয়ে নেয়। এভাবে কোটি কোটি টাকা দেশ থেকে কালোটাকার মালিকরা পাচার করছে। অপরদিকে বাংলাদেশ রেমিটেন্স হারাচ্ছে।

মোহাম্মদ আলী বলেন, দেশে হঠাৎ ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে আমরা এই চক্রের সন্ধান পাই। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয় ডলার হয়ে দেশে আসে না। একটি চক্র তা পাচার করে দিচ্ছে। এতে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যারাই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান সিআইডি প্রধান।

 

 

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top