শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২

হ্যালোইন কি,প্রথম কোথায় পালন হয়েছে

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:০১

সংগৃহীত

আজ বিশ্বজুড়ে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে হ্যালোইন। ভূতুড়ে সাজ, মুখোশ, কুমড়ো খোদাই আর "ট্রিক অর ট্রিট"—সব মিলিয়ে উৎসবমুখর সময় কাটাচ্ছে মানুষ। তবে, হ্যালোইনের এই আধুনিক রূপের পেছনে রয়েছে হাজার বছরের পুরোনো ইতিহাস ও সংস্কৃতির মিশেল।

‎‎“হ্যালোইন” শব্দটি এসেছে ‘অল হ্যালোস ইভ’ থেকে—যা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ছুটির দিন ‘অল হ্যালোস ডে’ বা ‘অল সেইন্টস ডে’-এর আগের রাত। কিন্তু ইতিহাসবিদরা বলছেন, এর শিকড় আরও গভীরে—প্রায় দুই হাজার বছর আগে প্রাচীন কেল্টিক গোষ্ঠীর ‘সামহেইন’ (Samhain) উৎসব থেকেই হ্যালোইনের উৎপত্তি।

‎কেল্টিকদের মতে, ১ নভেম্বর ছিল নতুন বছরের সূচনা। তার আগের রাত অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর পালিত হত সামহেইন, যা ছিল গ্রীষ্মের সমাপ্তি ও শীতের সূচনার প্রতীক। বিশ্বাস করা হত, এই রাতে জীবিত ও মৃতদের জগতের সীমানা খুব ক্ষীণ হয়ে যায়—মৃত আত্মারা ফিরে আসে পৃথিবীতে, পরিবারের প্রিয়জনদের খোঁজে।

‎তবে সবাই এই আত্মাদের উপস্থিতি স্বাগত জানাতেন না। অনেকেই ভয় থেকে আগুন জ্বালাতেন আত্মাদের দূরে রাখার জন্য, আবার কেউ কেউ ভূতুড়ে পোশাক পরে ঘুরতেন যাতে আত্মারা বুঝতে না পারে তারা জীবিত মানুষ।

‎ইতিহাসবিদরা আরও জানান, হ্যালোইনের মূলধারায় আসার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে আয়ারল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী শস্য উৎসব। পরবর্তীতে ইউরোপ থেকে অভিবাসীরা যখন আমেরিকায় পাড়ি জমান, তখন তারা এই সংস্কৃতিও সঙ্গে নিয়ে যান। ধীরে ধীরে আমেরিকান সংস্কৃতি, সিনেমা ও জনপ্রিয় সংস্কৃতির মাধ্যমে হ্যালোইন ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে।

‎আজও অনেক উইচক্র্যাফট বা পেগান ধর্মাবলম্বী এই দিনটিকে পবিত্র হিসেবে দেখেন। তাদের বিশ্বাস, হ্যালোইনের রাতে আত্মাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব—যা মৃত্যু ও জীবনের মধ্যকার রহস্যময় সংযোগের প্রতীক।

‎সময়ের সাথে সাথে ধর্মীয় ও পৌরাণিক বিশ্বাসের সীমা ছাড়িয়ে এখন হ্যালোইন হয়ে উঠেছে এক বৈশ্বিক সাংস্কৃতিক উৎসব—ভয়, কল্পনা ও আনন্দের মিশেলে অনন্য এক দিন।

 

নিফ্লা৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top