মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২

প্রথমবার স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ানের ভূমিকায় মোশাররফ করিম; আসছে চরকির নতুন ফিল্ম ‘ডিমলাইট’

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:০৯

সংগৃহীত

জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম এবার প্রথমবারের মতো পর্দায় হাজির হচ্ছেন এক ভিন্ন রূপে—স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান হিসেবে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির অরিজিনাল ফিল্ম ‘ডিমলাইট’–এ দেখা যাবে এই নতুন চরিত্রকে। ছবিটি নির্মাণ করেছেন শরাফ আহমেদ জীবন।

২০ নভেম্বর চরকির ভেরিফায়েড সামাজিক মাধ্যম পেজে ঘোষণা দেওয়া হয়—“মোশাররফ করিম চরকিতে ফিরছেন আরও একটি নতুন রূপে! কিন্তু কী নিয়ে?” এরপর ২৩ নভেম্বর আরেক পোস্টে লেখা হয়—“লাইফটাই একটা জোক, আর সবচেয়ে বড় জোক মিডলাইফ ক্রাইসিস।”—এই দুই পোস্টের পরই দর্শকদের আগ্রহ বাড়ে ‘ডিমলাইট’ ঘিরে।

সেনসেশন কনডমস প্রেজেন্টস এই চলচ্চিত্রে কমেডির আবরণে দেখানো হয়েছে এক পুরুষের মিডলাইফ ক্রাইসিস। নির্মাতা শরাফ আহমেদ জীবন বলেন, “অতিরিক্ত আলো কিংবা অত অন্ধকার—কোথাও কিছু স্পষ্ট দেখা যায় না। দেখতে হলে দরকার ‘ডিমলাইট’। জীবনের অদৃশ্য সমস্যাগুলোই সহজভাবে দর্শকদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টাই ‘ডিমলাইট’।”

‘ডিমলাইট’ চরকির বিশেষ প্রজেক্ট ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’–এর অংশ। ২৫ নভেম্বর প্রকাশিত অফিসিয়াল পোস্টারে লেখা থাকে—“মিডলাইফ ক্রাইসিস থুক্কু ডিমলাইট ক্রাইসিস!” নির্মাতার ভাষায়, মিডলাইফ ক্রাইসিসকেই প্রতীকী রূপে ‘ডিমলাইট ক্রাইসিস’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ছবিতে মোশাররফ করিমের পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নির্মাতা জীবন নিজেও। গল্প, সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন নাহিদ হাসনাত।

সম্পর্কের নানা দিক আলোকপাত করতেই ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রজেক্টের সূচনা। সেই ধারাবাহিকতায় ‘ডিমলাইট’-এও সম্পর্কই মূল ফোকাস। মোশাররফ করিমের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তানজিকা আমিন ও পারসা ইভানা।

চরিত্র নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তানজিকা আমিন বলেন, “গল্পটা খুব সময়োপযোগী মনে হয়েছে। আমাদের আশেপাশে ঘটে যাওয়া বাস্তব ঘটনাগুলোর মতোই।”

পারসা ইভানা বলেন, “এটা খুব ফ্রেশ গল্প—যেখানে কনফিউশন আছে, হিউমার আছে, ক্রাইসিস আছে। খুবই রিলেটেবল। চরকিতে এটাই আমার প্রথম কাজ।”

জীবনের দৈনন্দিন চাপে সম্পর্কের আবরণ ঢাকা পড়ে যাওয়ার কথাই গল্পে উঠে এসেছে বলে জানান মোশাররফ করিম। তাঁর ভাষায়, “চিনি, টুথপেস্ট, বাচ্চার স্কুলের বেতন—এমন সব আবরণে ঢেকে যায় ভালোবাসা। আবার কোনো এক ধাক্কায় বোঝা যায় আসলে হৃদয়ের মানুষটি কোথায়।”

চরকির সিইও রেদওয়ান রনি জানান, “মিনিস্ট্রি অব লাভ–এর প্রতিটি প্রজেক্ট দর্শক পছন্দ করেছেন। মান বজায় রাখতে সময় নিয়েই কাজ করা হয়েছে। ডিমলাইট সেই প্রত্যাশা পূরণ করবে।”

সহপ্রযোজক ও ছবিয়ালের কর্ণধার নুসরাত ইমরোজ তিশা বলেন, “দেশের পরিস্থিতির কারণে সময় নিতে হয়েছে। আগের পাঁচটি ফিল্ম চমৎকার সাড়া পেয়েছে। আশা করছি ডিমলাইটও দর্শকদের ভালো লাগবে।”

এর আগে ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’–এর পাঁচটি ফিল্ম—‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’, ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’, ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’, ‘ফরগেট মি নট’, ‘৩৬–২৪–৩৬’—মুক্তি পায়। এবার সেই ধারাবাহিকতায় মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ‘ডিমলাইট’।

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top