বিয়ের দেড় মাস পর স্বামী জানলেন ‘নববধূ পুরুষ’

সাবিকুন নাহার সাদিয়া | প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১৭:৪৩

ছবি: সংগৃহীত

শরিফ-শরিফার গল্প আপনারা হয়তো পাঠ্যপুস্তকে পড়েছেন।তবে এবার জানাবো এক বাস্তবে ঘটে যাওয়া শরিফ থেকে শরিফা হওয়ার গল্প ।রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ঘটে গেল এক বিস্ময়কর ঘটনা, যা এখন পুরো এলাকায় তোলপাড় ফেলেছে। দেড় মাস আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রেম করে  শান্ত নামের এক যুবকের সঙ্গে ‘সামিয়া’ নামে এক তরুণীর বিয়ে হয়। ৭ জুন তিনি আচমকা শান্তর বাড়িতে হাজির হন। পরিবারের সম্মতিতে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু শান্তর কল্পনাতেও আসেনি—নববধূ হিসেবে শান্তর ঘরে আসা ‘সামিয়া’ আসলে একজন পুরুষ!

‎পরে জানা যায়, সামিয়ার আসল নাম মো. শাহিনুর রহমান, বাড়ি চট্টগ্রামের আমতলা ঈদগাহ বৌবাজার এলাকায়। বহু বছর ধরে ফেসবুকে 'সামিয়া' নামে নারী সেজে পরিচিতি তৈরি করেন তিনি।বিয়ের পর কেউ টেরই পাননি, যে মানুষটি ঘরে ঘরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বধূর বেশে, তিনি আসলে একজন পুরুষ!

‎তবে সন্দেহ তৈরি হয় তার কিছু অস্বাভাবিক আচরণে। কাছাকাছি হতে চাইলে বলতেন—‘আমি অসুস্থ, ডাক্তার নিষেধ করেছে।’শেষ পর্যন্ত শুক্রবার বিকেলে রহস্য উন্মোচিত হয়। ‘সামিয়া’ যে পুরুষ—এ তথ্য জানাজানি হতেই সামাজিক মাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায় পুরো ঘটনা।

‎শান্ত বলেন, 'ফেসবুকে পরিচয়, প্রেম, হঠাৎ বিয়ে—সবকিছুই যেন এখন দুঃস্বপ্ন। এমন প্রতারণা মেনে নেওয়া যায় না।' শান্তর মা সোহাগী বেগম বলেন, 'একজন পুরুষ এত নিখুঁত অভিনয় করেছে, ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে।'

‎ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর শনিবার সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে শাহিনুরকে তার নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।এদিকে শাহিনুর বলেন, ' আমি স্বীকার করি যা করেছি তা ভুল। তবে আমার হরমোনজনিত সমস্যা আছে। ছোটবেলা থেকেই নিজেকে মেয়ে মনে হতো, মেয়েদের মতো পোশাক পরতে ভালো লাগত। সেই কারণেই এই জীবন বেছে নিয়েছিলাম।'

‎ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান, ঘটনাটি এক সদস্যের মুখে শুনেছেন, তবে কেউ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানাননি।‎গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি বলেন, ' বিষয়টি এখনো আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' 

 

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top