রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২

টেকনাফে বাজারে লাল-হলুদ তরমুজ, কৌতূহলী ক্রেতাদের ভিড়

কক্সবাজার প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৪

ছবি: সংগৃহীত

সারি সারি ফলের দোকানে স্তূপ করে রাখা তরমুজ। কোনোটি লাল, কোনোটি আবার একেবারে হলুদ। অস্বাভাবিক এই দৃশ্য এখন টেকনাফের বাজারে দেখা যাচ্ছে। অসময়ের এই তরমুজ দেখতে কৌতূহলী ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা।

শীত-পরবর্তী বসন্তই সাধারণত তরমুজের মৌসুম। এপ্রিল-মেই মাসে বাজার ভরে ওঠে এই ফলের সরবরাহে। কিন্তু এবার ভাদ্র মাসেই অর্থাৎ শরতে বাজারে উঠেছে লাল-হলুদ তরমুজ।

টেকনাফ উপজেলার বাসস্টেশন বাজার, শাপলা চত্বর জিরো পয়েন্ট, অলিয়াবাদ স্কুলমাঠ, থানা মোড়, ওপরের বাজার, লামার বাজার ও উপজেলা পরিষদ এলাকায় বিক্রেতারা তরমুজ তুলেছেন।

ওজন অনুযায়ী কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। মাঝারি আকারের একটি লাল তরমুজের দাম পড়ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। লাল তরমুজের ওজন ৩–৭ কেজি হলেও হলুদ তরমুজ তুলনামূলক ছোট—ওজন ২–৪ কেজি।

কৃষি কর্মকর্তার বক্তব্য উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম কুতুবী বলেন,“টেকনাফে শুধু তরমুজ নয়, এর বাইরেও বিভিন্ন আগাম ফল পাওয়া যায়। চাহিদা বেশি থাকায় তরমুজ চাষ বাড়ছে। তবে এবারই প্রথম বাজারে উঠেছে হলুদ রঙের তরমুজ।”

তিনি আরও জানান, উপজেলার সেন্ট মার্টিন, বাহারছড়া, সাবরাং, টেকনাফ সদর, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং এলাকায় তরমুজ চাষ বেশি হচ্ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকেরা বাড়তি আয়ের জন্য এই ফল চাষ করছেন।

ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া বাজারের এক বিক্রেতা বাদশা মিয়া বলেন, অসময়ে বাজারে আসায় দাম তুলনামূলক বেশি। তবে সামনে দাম কিছুটা কমতে পারে, তখন বিক্রি বাড়বে।”

আরেক বিক্রেতা আবদুল আমিন বলেন,অসময়ের তরমুজ হলেও স্বাদ বেশি। তাই অনেকেই বারবার কিনতে আসছেন।”

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে জানুয়ারি–এপ্রিল সময়টা তরমুজ চাষের মৌসুম হলেও টেকনাফে জুন–জুলাইয়ে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ হয়। এগুলো আগস্ট–সেপ্টেম্বরে বাজারে ওঠে। আবার অক্টোবর–নভেম্বরে বীজ বপন করে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতকালীন তরমুজ চাষ করা হয়। গত বছর উপজেলায় ১১৩ একর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছিল, এ বছর আরও বেশি জমিতে চাষ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top