চলনবিলের ভাসমান স্কুল পেল ইউনেস্কোর কনফুসিয়াস সাক্ষরতা পুরস্কার ২০২৫

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৯

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের চলনবিলে জন্ম নেওয়া ভাসমান স্কুল বিশ্বদরবারে প্রশংসা কুড়াল। স্থপতি মোহাম্মদ রেজোয়ানের সৌরচালিত এই ভাসমান স্কুল ২০২৫ সালে ইউনেস্কোর কনফুসিয়াস সাক্ষরতা পুরস্কার জিতেছে। শিশুদের বন্যার সময় শিক্ষাবঞ্চিত না হওয়ায় উদ্ভাবিত এই প্রকল্প আন্তর্জাতিক মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

বন্যার সময় গ্রামগুলো ডুবে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেত, শিশুরা মাসের পর মাস শিক্ষাবঞ্চিত হতো। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে ২০০২ সালে মোহাম্মদ রেজোয়ান স্থানীয় একটি নৌকাকে স্কুলে রূপান্তর করেন। বর্তমানে ১০০টিরও বেশি নৌকা স্কুল, লাইব্রেরি এবং ক্লিনিক হিসেবে কাজ করছে, যা ২২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে সাক্ষর করেছে।

ইউনেস্কো জানিয়েছে, ‘বন্যাপ্রবণ অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্থানীয় উদ্ভাবনী উপায়ে সাক্ষরতা পৌঁছে দেওয়াই এ ভাসমান স্কুলের সাফল্য।’ ২০২৫ সালের কনফুসিয়াস সাক্ষরতা পুরস্কারের বিজয়ী হিসেবে বাংলাদেশের সিধুলাই ভাসমান স্কুল, আয়ারল্যান্ডের লার্ন উইথ নালা ই-লার্নিং এবং মরক্কোর সেকেন্ড চান্স স্কুল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ এডুকেশন প্রোগ্রামকে নির্বাচন করা হয়েছে।

স্থপতি মোহাম্মদ রেজোয়ান বলেছেন, “শিক্ষা শুধু পড়ালেখা নয়, এটি শান্তি, সমতা ও সহনশীলতা গড়ে তোলে। আশা করি, সাক্ষরতা ও জ্ঞানের শক্তি দিয়ে আমাদের তরুণরা এমন এক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে, যেখানে কোনো দুর্যোগই শিশুর শিক্ষাকে থামাতে পারবে না।”

বিশ্বব্যাপী শিক্ষায় নতুন উদ্ভাবন হিসেবে এই ভাসমান স্কুলের গল্প ফ্রান্সের ন্যাশনাল মিউজিয়ামে আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে এবং তথ্যচিত্র হিসেবে ট্রিটিআরটি ওয়ার্ল্ডে প্রদর্শিত হচ্ছে।

বিশেষ তথ্য:

  • প্রকল্পটি নারী ও কন্যাশিশুদের জন্য বিশেষভাবে নিরাপদ ও আরামদায়ক করে তৈরি করা হয়েছে।

  • স্থানীয়রা, বিশেষ করে নারী ও সাবেক শিক্ষার্থীরা ভাসমান স্কুল পরিচালনা করেন।

  • বাংলাদেশ সরকার এটি জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০৫০-এ অন্তর্ভুক্ত করেছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top