শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

পেরিয়ে গেল ২০ ঘণ্টা, এখনও উদ্ধার হয়নি শিশু সাজিদ

রাজশাহী প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৩

দীর্ঘ সময় পার হওয়ায় শিশুটি এখনও বেঁচে আছে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। গর্তের পাশে ভিড় করছে মানুষ, রাতভর চলে ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতা। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে এখনও উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রায় ২০ ঘণ্টা পার হলেও শিশুটির নড়াচড়ার কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। রাতভর চলে উদ্ধার অভিযান, নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয়দের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ সময় পার হওয়ায় সাজিদ জীবিত আছে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গর্তের পাশে ভিড় জমিয়েছেন উৎসুক মানুষ।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, ৮ ইঞ্চি ব্যাসের বোরিং পাইপে পড়ে যায় সাজিদ। তার পাশে বড় একটি গর্ত খুঁড়ে সুড়ঙ্গপথে তার অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চললেও শিশুটির অস্তিত্ব মেলেনি। বিশেষ ক্যামেরা দিয়ে গর্তের ভেতর খোঁজ নেওয়ার সময় ৩৫ ফুট নিচে সেটি আটকে যায়। তবে তাদের ধারণা—সাজিদ হয়তো আরও নিচে, প্রায় ৪০ ফুটের মতো গভীরে রয়েছে। শিশুটির জীবন রক্ষায় অক্সিজেন সরবরাহ অব্যাহত রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার পরপরই পাইপের ভেতর থেকে শিশুটির ক্ষীণ সাড়াশব্দ শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হওয়ায় এখন আর কোনো শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিসও শিশুটি জীবিত আছে কি না, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে পরিত্যক্ত ডিপ টিউবওয়েলের পাইপের ভেতর পড়ে যায় সাজিদ। স্থানীয়রা প্রথমে উদ্ধার চেষ্টা চালান, ব্যর্থ হলে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। সাজিদ ওই গ্রামের রাকিবের ছেলে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) অধীনে পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপিত এ বোরিংটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত ছিল। মালিক তাহের ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পাইপের মুখ খোলা অবস্থায়放িয়ে রেখেছিলেন, কোনো সতর্কীকরণ ব্যবস্থা না থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলে এখনো শত শত মানুষ ভিড় করছেন এবং শিশুটিকে দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছেন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top