শাবনূরের জন্মদিনে কনকচাঁপার আবেগঘন শ্রদ্ধা
বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:৫৫
ঢাকাই চলচ্চিত্রের সোনালী দিনের কথা উঠলেই মনে পড়ে দুই নক্ষত্রের নাম—শাবনূর ও কনকচাঁপা। পর্দার অভিনয় আর কণ্ঠের মিলনে এক সময় দর্শক-শ্রোতাদের মন জয় করেছিল এই জুটি। শাবনূরের জন্মদিনে কনকচাঁপা সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন এক আবেগঘন স্মৃতিচারণ, যেখানে তুলে ধরেছেন সেই স্বর্ণযুগের অজানা অনেক দিক।
কনকচাঁপা লিখেছেন, “শাবনূর, একটি পরিপূর্ণ প্রতিভাময় শিল্পীর নাম, যাকে বাংলাদেশ কখনোই ভুলবে না। তার অভিনয় শৈলী, উচ্চারণ, দৈহিক সৌন্দর্য, গোলাপের মতো হাসি এবং নয়নযুগল পুরো যুবসম্প্রদায়কে মুগ্ধ করেছে। তার প্রতিভার রেশ আজও কাটেনি, কাটবেও না।”
শাবনূরের প্রায় সব গানেই কণ্ঠ দিয়েছেন কনকচাঁপা। তিনি বলেন, “তার ১০০টি গানের ৯৯টি আমার কণ্ঠে। আমাদের দুই দেহ এক প্রাণ বলা যায়। স্ক্রিনে গান শুনে মনে হয়েছে যেন এটা তারই কণ্ঠ।” কনকচাঁপা অভিনয় আর কণ্ঠের একাকার হয়ে যাওয়া জন্য পুরো ক্রেডিট দিয়েছেন শাবনূরকে।
ব্যক্তিগত জীবনে কম দেখা হলেও কনকচাঁপা শাবনূরের সরলতা এবং খাঁচভাঙ্গা হাসিকে বিশেষভাবে স্মরণ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “সাধারণ সাক্ষাৎকালে মনে হয়েছে, এই মেয়ে সিরিয়াস অভিনয় করে কিভাবে!” তবে দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একসাথে কাজ করার পরও কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান না হওয়ার আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন কনকচাঁপা।
এদিকে শাবনূর নিজের জন্মদিনে ভক্ত ও সহকর্মীদের শুভেচ্ছায় ভেসেছেন। বিকেলে কেক কাটার একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “এই ভালোবাসা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ও অনুপ্রেরণা। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা আমাকে আরও দায়িত্বশীল করে তোলে।”
উল্লেখ্য, নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকে পরবর্তী এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শাবনূর-কনকচাঁপা জুটি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য কালজয়ী গান, যা আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।