ইরানে গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি এখন মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত! নতুন আইন ঘিরে তুমুল বিতর্ক
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৩:০৩

ইরানে গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি নিয়ে এসেছে নতুন ও কঠোর আইন। সোমবার, ১৪ জুলাই—ইরানের সংসদে বিপুল ভোটে পাস হয়েছে একটি সংশোধনী প্রস্তাব। এখন থেকে শত্রু রাষ্ট্র বা গোষ্ঠীর জন্য কেউ যদি গুপ্তচরবৃত্তি করে—তার শাস্তি হতে পারে সরাসরি মৃত্যুদণ্ড! শুধু তাই না, অপরাধ প্রমাণিত হলে তার সব সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা যাবে।
এই আইনে শত্রু রাষ্ট্র ঠিক কে—তা নির্ধারণের ক্ষমতা থাকবে সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের হাতে। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে আরও দেশ বা গোষ্ঠীকে এই তালিকায় যুক্ত করতে পারবে ইরানের নিরাপত্তা পরিষদ।
এছাড়াও নতুন আইনে বলা হয়েছে—কেউ যদি দেশের বিরুদ্ধে বিদেশি মিডিয়া বা নেটওয়ার্কে তথ্য বা ভিডিও পাঠায়, বা জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করে—তাকে কারাদণ্ড, সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং বিভিন্ন ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
সবচেয়ে বিতর্কিত অংশ হলো—মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কোনো সাজার বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। আর মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার সময়সীমা মাত্র ১০ দিন!
এই আইন এমন এক সময় পাস হলো, যখন ইরানের অভ্যন্তরে ইসরায়েলি গোয়েন্দা অনুপ্রবেশ নিয়ে নানা প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। ফলে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে কড়াকড়ি বাড়িয়েছে সরকার।
তবে মানবাধিকার কর্মী ও আন্তর্জাতিক আইনজীবীরা বলছেন—এই আইন ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। জাতিসংঘের বিশেষ দূতও প্রকাশ করেছেন গভীর উদ্বেগ। এই আইন কি ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, নাকি বাকস্বাধীনতার ওপর নতুন এক নিপীড়নের শুরু?
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।