মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২

গাজায় ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার আগেই ইসরায়েলের হামলা, নিহত ২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২২

ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বিরতির আহ্বান সত্ত্বেও, রবিবার ইসরায়েলি সেনাদের হাতে কমপক্ষে ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন [ফাইল: আমির কোহেন/রয়টার্স]

মার্কিন নেতৃত্বাধীন যুদ্ধবিরতি উদ্যোগ নিয়ে মিশরে আলোচনার একদিন আগে গাজায় ফের ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। নিহতদের মধ্যে চারজন ছিলেন আশ্রয়প্রার্থী।

রবিবার (৫ অক্টোবর) গাজার রাফাহ ও আজ-জুওয়াইদা এলাকায় এসব হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স জানায়, রাফাহের উত্তরে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে গুলিতে চার আশ্রয়প্রার্থী প্রাণ হারান।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস সোমবার মিশরের শারম আল-শেখে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০-দফা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে পরোক্ষ আলোচনায় বসছে।

হামাস জানিয়েছে, তাদের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন খলিল আল-হাইয়া। আলোচনায় থাকবে যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়া।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে অংশ নেবেন শীর্ষ আলোচক রন ডার্মার, যিনি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে বলেন, “এই আলোচনা খুবই সফল এবং দ্রুত এগোচ্ছে। কারিগরি দলগুলো সোমবার মিশরে আবার বসবে। প্রথম পর্যায়ের সমঝোতা এই সপ্তাহেই সম্পন্ন হতে পারে।” তিনি সকল পক্ষকে ‘দ্রুত অগ্রসর হতে’ আহ্বান জানান।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য গাজার আজ-জুওয়াইদা ও গাজা শহরে রাতভর বোমা হামলা অব্যাহত ছিল। সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানান, “ফিলিস্তিনিরা ভেবেছিল অন্তত একরাত শান্তিতে কাটাবে, কিন্তু তা হয়নি।”

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের হিসাব অনুযায়ী, দুই বছরের সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৮,৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১,০১৫ শিশু, ১,৬৭০ চিকিৎসাকর্মী, ২৫৪ সাংবাদিক এবং ১৪০ উদ্ধারকর্মী রয়েছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সিবিএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “জিম্মি মুক্তির সবচেয়ে কাছাকাছি সময় এটা, কিন্তু আপনি যুদ্ধের মাঝখানে সেটা করতে পারবেন না। তাই বোমা বন্ধ করতে হবে।”

ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, হামাস অবশিষ্ট বন্দীদের মুক্তি দেবে এবং ইসরায়েল সেনাদের ‘হলুদ রেখা’ পর্যন্ত ফিরিয়ে নেবে। তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “গাজা উপত্যকা সামরিকীকরণমুক্ত করা হবে এবং ইসরায়েল নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে যাতে সীমান্তবর্তী সম্প্রদায়গুলো নিরাপদ থাকে।”

 সূত্র: আল জাজিরা



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top