গাজায় ১০ লাখ নারী-শিশু অনাহারে, বিশ্বে তোলপাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৭ আগষ্ট ২০২৫, ১২:৫১

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের অবরোধ আর অব্যাহত হামলায় গাজার অন্তত ১০ লাখ নারী ও কিশোরী এখন চরম অনাহারে ভুগছেন। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।

সংস্থাটি জানায়—গাজার নারীরা গণঅনাহার, সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার। খাবার আর পানি সংগ্রহের জন্য তারা যেতে বাধ্য হচ্ছেন এমন জায়গায়, যেখানে ইসরায়েলি হামলার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, অবরুদ্ধ গাজা থেকে অবরোধ তুলে নিতে হবে এবং দ্রুত, ব্যাপক আকারে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো জরুরি।

আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা এখন ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে। চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজার সব সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সীমান্তে আটকে থাকা হাজারো ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে পারছে না। সীমিত যে সরবরাহ ঢুকছে, তা লাখো ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য যথেষ্ট নয়।

এর আগেই জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সতর্ক করেছিল—গাজার মোট ২৪ লাখ মানুষের মধ্যে অন্তত এক-তৃতীয়াংশ কয়েকদিন ধরে কোনো খাবার পাচ্ছে না। ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৬১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি। গাজা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে, আর জনগণ ঠেলে দেওয়া হয়েছে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।

এদিকে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

এছাড়া গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েল এখন আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বিচারের মুখোমুখি। গাজার এই ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় আজ বিশ্বের বিবেককে নাড়া দিচ্ছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top