বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২

১৫০০ তম জন্মবার্ষিকীতে মহানবী (সা.) ও মুসলিম ঐক্য আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:৩৪

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় জাতীয় যাদুঘরের কবি সুফয়া কামাল মিলনায়তনে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হলো ‘ইসলামের নবী (সা.) : মুসলিম উম্মাহ গঠনের অক্ষ’ শীর্ষক আলোচনা সভা। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছিল ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি, আর সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কাজী আবু হুরায়রা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীরমোহাম্মদী।

বক্তারা বলেন, এ বছরের ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বিশেষভাবে পালিত হচ্ছে, কারণ এটি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ১৫০০ তম জন্মবার্ষিকী। ওআইসির বৈঠকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সুপারিশে ২০২৫ সালকে সারা মুসলিম বিশ্বে এই জন্মবার্ষিকী উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সমস্ত ওআইসি সদস্য দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরাও এই প্রস্তাবে একমত হয়েছেন এবং বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে মহানবী (সা.)-এর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।

বক্তারা আরও বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন রাহমাতুল্লিল আলামিন, অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বের মানুষের জন্য রহমতস্বরূপ। তিনি প্রথম বিশ্বে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর আগমনের আগে পৃথিবী অন্ধকার যুগে ছিল। মহানবী ঘোষণা করেছিলেন, পৃথিবীর সব মানুষ সমান; সাদার উপর কালোর বা কালোর উপর সাদার কোনো বিশেষ মর্যাদা নেই।

বক্তারা উল্লেখ করেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পথ অনুসরণকারীরাই হলো মুসলিম উম্মাহ, যারা পরস্পরের প্রতি ভাই-ভাই। মুসলিমরা যেন কখনো বিপদের সম্মুখীন না হয়, সেজন্য নবী ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, তোমরা ঐক্যের রশ্মিকে শক্ত করে ধরো এবং কখনো বিচ্ছিন্ন হবেন না। বর্তমান ইসলামি বিশ্বে যে সংকট বিরাজ করছে, তার মূল কারণ হলো মুসলমানদের মধ্যে বিভাজন। এই বিভাজন দূর করতে হলে রাসূল (সা.)-এর পথ অনুসরণ করতে হবে এবং তাঁকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বক্তারা বলেন, এটি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

এই আয়োজনকে বক্তারা চিহ্নিত করেছেন মহানবী (সা.)-এর চিরন্তন আর্দশ ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি চর্চার এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে। মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, মানবাধিকারের মূল্যবোধ এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এই অনুষ্ঠানের তাৎপর্য অনন্য।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top