জানাজায় ১০০ জন মুসল্লি হলে কি মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া কবুল হয়?

ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:০৯

সংগৃহীত

মৃত্যু জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জন্ম নিলে একদিন মৃত্যুর মুখোমুখি হতেই হবে। মায়াঘেরা এই দুনিয়ার রঙ ও আনন্দ ত্যাগ করে মানবকে পরকালীন জীবনে পাড়ি দিতে হয়, যেখানে কেউ কারও বন্ধু বা শত্রু হবে না; নিজের কর্মকাণ্ডের দায়িত্ব নিজেই নিতে হবে।

রাব্বুল আলামিন মহাগ্রন্থ আল কোরআনে ইরশাদ করেছেন,

“প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমরা নিজ নিজ কাজের প্রতিফল সম্পূর্ণভাবেই কিয়ামতের দিন পাবে।”

(সুরা আলে ইমরান : ১৮৫, সুরা আনকাবুত : ৫৭)

এছাড়া সুরা নাহলে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

“নির্ধারিত সময়ে যখন মৃত্যুর সময় আসবে, এক মুহূর্তও বিলম্বিত বা ত্বরান্বিত করা যাবে না।” (আয়াত : ৬১)

মৃত্যুর পর পরকালীন জীবনের প্রথম মঞ্জিল হচ্ছে কবর। যারা কবরের পরীক্ষায় মুক্তি পান, তাদের পরবর্তী মঞ্জিলগুলো সহজ ও আরামদায়ক হবে; আর যারা কবরের শাস্তি ভোগ করেন, তাদের পরবর্তী মঞ্জিলগুলো ভয়ঙ্কর হবে।

হাদিসে এসেছে, মৃত ব্যক্তির গোসল, কাফন, জানাজা ও দাফন দ্রুত সম্পন্ন করা উচিত। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন,

“তোমরা মৃত ব্যক্তিকে তাড়াতাড়ি দাফন করবে। যদি সে নেক ব্যক্তি হয়, তাকে কল্যাণের নিকটবর্তী করবে; আর যদি অন্য কিছু হয়, মন্দকে তোমাদের কাঁধ থেকে সরিয়ে দেবে।” (বোখারি : ১৩১৫)

জানাজার সংখ্যা ও শাফায়াত নিয়ে প্রচলিত ধারণা রয়েছে যে, বেশি মানুষের জানাজায় অংশগ্রহণ মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া ও শাফায়াতের কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। শরিয়তে এর ভিত্তি হিসেবে আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে,

“যদি কোনো মুসলিম মারা যায় এবং একশ’র মতো মুসলিম তার জানাজায় অংশ নেয় এবং তার জন্য দোয়া করে শাফায়াত করে, তবে সেই শাফায়াত অবশ্যই কবুল হবে।”

(তিরমিজি : ১০২৯)

শুধু একশ’র সংখ্যাই নয়, এতে আরও বেশি মুসলিম অংশ নিলেও তা প্রমাণ করে যে সামাজিক ও ধর্মীয় সমর্থন ও দোয়া মৃত ব্যক্তির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

 

 

নিফ্লা৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top