মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২

আল্লাহর ফয়সালা: কাবার ফ্লোর এত ঠান্ডা কেন জানেন?

ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৩

ছবি: সংগৃহীত

মক্কায় তাওয়াফ করতে গেলে সবার মনেই প্রশ্ন জাগে— এত প্রখর রোদেও কাবার ফ্লোর এত ঠান্ডা থাকে কীভাবে?

এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে চার দশক আগের এক বিস্ময়কর ঘটনায়।

১৯৮৫ সালে বাদশাহ ফাহাদের আমলে মক্কা ও মদিনার সম্প্রসারণ কাজের দায়িত্ব পান মিশরের বিখ্যাত স্থপতি ড. মোহাম্মদ কামাল ইসমাইল। তখন তিনি দেখলেন, তীব্র গরমে হাজীদের পায়ের তাপ সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ছে।

এই সমস্যার সমাধানে ড. কামাল ইসমাইল শুরু করলেন গবেষণা। বহু অনুসন্ধানের পর তিনি ইউরোপের গ্রিসে এক বিশেষ ধরনের মার্বেল পাথরের পাহাড় আবিষ্কার করেন। এই পাথরের বিশেষত্ব হলো— সূর্যের তাপ এটির ভেতর প্রবেশ করতে পারে না, ফলে এটি সবসময় ঠান্ডা থাকে।

তিনি পাহাড়টির অর্ধেক কিনে নিয়ে সেই মার্বেল পাথর মক্কার কাবা শরীফের চারপাশে বিছিয়ে দেন। ফলাফল ছিল অবিশ্বাস্য— প্রচণ্ড রোদেও সেই ফ্লোর ঠান্ডা থাকে। হাজীরা তাওয়াফে আরাম অনুভব করতে শুরু করেন।

এরপর কেটে যায় প্রায় ১৫ বছর। এবার মসজিদে নববীর চত্বরের ফ্লোর নির্মাণের উদ্যোগ নেন বাদশাহ ফাহাদ। তখন সেই একই ধরনের মার্বেল দরকার হয়। কিন্তু সমস্যা হলো— গ্রিসের সেই পাহাড়ের পাথর প্রায় শেষ।

স্থপতি কামাল ইসমাইল আবারও গ্রিসে গিয়ে জানতে চান, ওই বিশেষ মার্বেল পাথর আর আছে কি না। মার্বেল কোম্পানির ম্যানেজার জানান, তার আগেই পাহাড়ের বাকি অংশ এক ক্রেতা কিনে নিয়েছেন।

হতাশ হয়ে ফিরে আসার আগে ইসমাইল জানতে চান— কে সেই ক্রেতা? কিছু খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে খবর আসে, যিনি পাহাড়ের বাকি অংশ কিনেছিলেন, তিনি একজন সৌদি ব্যক্তি— বাদশাহ ফাহাদ নিজেই।

অর্থাৎ, আল্লাহর ফয়সালায় কাবা শরীফ ও মসজিদে নববী— দু’টিই একই ঠান্ডা মার্বেলের বরকতে সজ্জিত হলো।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top