নামাজের মর্যাদা ও কপালের দাগের গোপন বাস্তবতা
ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:১০
ইসলামে নামাজকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য, আর নামাজ শুধু ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক জীবনেরও ভিত্তি গঠন করে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার চোখের স্নিগ্ধতা বা প্রশান্তি রয়েছে নামাজে।’
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে’ (সুরা আনকাবুত : ৪৫)। অর্থাৎ, প্রকৃত নামাজি ব্যক্তি সব ধরনের অনৈতিকতা থেকে নিজেকে দূরে রাখেন।
নামাজিরা মাঝে মাঝে কপালে কালো দাগ থাকা নিয়ে আলোচনা করেন। অনেকেই মনে করেন, কপালের দাগ থাকা নেককারের পরিচয়। তবে প্রখ্যাত ইসলামী স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বলছেন, কপালের দাগ থাকা বা না থাকা কখনোই মুত্তাকি বা পরহেজগারের একমাত্র নির্ধারক নয়।
তিনি বলেন, পবিত্র কোরআনে সিজদার আলামত হিসেবে চেহারার নূরানিয়্যাত, খুশু-খুজু এবং আত্মিক উজ্জ্বলতা বোঝানো হয়েছে। কিছু মুফাসসির কিতাবে কপালের দাগকে আলামত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে বেশিভাগের মতে, আসল আলামত হলো অন্তরের খুশু এবং আত্মার উজ্জ্বলতা।
শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, কেয়ামতের দিন সিজদার অঙ্গগুলোও আলোকিত হবে, যা আধ্যাত্মিক মর্যাদার প্রতীক। সেজন্য কপালে দাগ থাকলেও তার মানে নয় যে কেবল সেই ব্যক্তিই মুত্তাকি; বরং অনেক মুত্তাকি ব্যক্তি আছেন, যাদের কপালে দাগ হয় না।
অতএব, নামাজের গুরুত্ব, খুশু ও আত্মিক প্রশান্তির দিকে মনোনিবেশ করাই প্রকৃত মুত্তাকির পরিচয়।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।