• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


ভারতীয় হৃদপিণ্ডে বাঁচলো পাকিস্তানের আয়েশার প্রাণ

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৩

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক বৈরিতা বহুদিনের। যেকোনো বিষয়ে একে অপরের চির প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে প্রতিবেশী দুই দেশ। রাষ্ট্র আলাদা কিন্তু মানবিকতা একই সুতোয় গাঁথা হয়ে রইলো। পাকিস্তানের এক তরুণীকে হৃৎপিণ্ড দান করে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন এক ভারতীয় নাগরিক।

আয়েশা রাশান। ১৯ বছরের এক পাকিস্তানি তরুণী। হৃদপিণ্ডের দুরারোগ্য এক সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কোনো উপায়ই ছিল না ওই ব্যাধি থেকে মুক্তির। কিন্তু পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য ছিল না সেই চিকিৎসার খরচ চালানোর, মিলছিল না কাঙ্ক্ষিত ডোনারও। এদিকে ক্রমেই জীবনপ্রদীপ নিভে আসছিল আয়েশার, সঙ্গে দূর আকাশে মিলিয়ে যাচ্ছিল তার ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্ন।

 

এরই মধ্যে করাচির এ তরুণীর জীবনে ত্রাণকর্তা হয়ে আবির্ভূত হলো পাশের দেশ ভারত। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তার হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের সার্জারিটি সম্পন্ন করলেন চেন্নাইয়ের এমজিএম হেলথকেয়ারের চিকিৎসকরা। ভারতীয় এক হৃদপিণ্ডে নতুন জীবনের মুখ দেখলেন পাকিস্তানি তরুণী। এনডিটিভি।

মেয়ের নতুন জীবন পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেনি আয়েশার পরিবার। তারা বলেছে, ট্রাস্ট এবং চেন্নাইয়ের ডাক্তারদের সহায়তা ছাড়া অপারেশনটির খরচ বহন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হতো না। ভারতের চিকিৎসকরা তাদের কাছে দেবদূত হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন। যে মেয়ের জীবনের আশা একটু একটু করে ফুরিয়ে আসছিল, সেই মেয়েকেই নতুন হৃদয় দিয়ে পুনর্জীবন দিয়েছেন তারা।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আয়েশার অবস্থা এখন স্থিতিশীল এবং তিনি পাকিস্তানে ফিরে যেতে পারবেন। তার হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা একদম শেষের দিকে ছিল। তাকে সেই অবস্থায় নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তার হৃদপিণ্ডে দুটি ফুটো হওয়ার কারণে সম্পূর্ণ হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টের প্রয়োজন হয়।

তারা জানান, একটি হার্ট ট্রান্সপ্লান্টে ৩৫ লাখ রুপির বেশি খরচ হয়ে থাকে। কিন্তু আয়েশার অপারেশনের সমস্ত ব্যয়ভার ট্রাস্ট এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করেছে।

ডা. কে আর বালাকৃষ্ণান, পরিচালক (ইনস্টিটিউট অফ হার্ট অ্যান্ড লাং ট্রান্সপ্লান্ট), এবং ডা. সুরেশ রাও (সহ-পরিচালক (ইনস্টিটিউট অফ হার্ট অ্যান্ড লাং ট্রান্সপ্লান্ট) জানিয়েছেন, দানকারী হৃদপিণ্ডটি দিল্লি থেকে এসেছে। তারা আরও জানান, আয়েশা আমাদের মেয়ের মতোই। সে আসলেই ভাগ্যবতী।

এ সময় তারা আরও জানান, তামিলনাড়ু অঙ্গদান এবং প্রতিস্থাপনে এগিয়ে গেছে। সরকারের কাছে হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টের ব্যয়ভার আরও কমিয়ে আনার অনুরোধ জানান এ চিকিৎসকরা।

 

 

 

 

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top