গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় একদিনে নিহত ৮৪
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৮
 
                                        গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান অভিযানে এক দিনে আরো ৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চালানো হামলায়গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। উদ্ধার কাজ চলমান থাকায় তাদের এখনো চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৬৮ জন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবারের অভিযানের পর গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫১ হাজার ৪০০ জন এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ৪১৬ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।
জিম্মিদের মুক্ত করতে সেই দিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাস পর যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর চাপে গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। তবে দুই মাস না পেরোতেই, জিম্মি বিনিময় ইস্যুতে মতানৈক্যের জেরে গত ১৮ মার্চ থেকে ফের অভিযান শুরু করে আইডিএফ।
দ্বিতীয় দফার অভিযানে গত ৩৮ দিনে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ২ হাজার ৬০ জন, আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৭৫ জন ফিলিস্তিনি।
হামাসের হাতে নেওয়া ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে এখনো অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা সামরিক অভিযান চালিয়ে এসব জিম্মিকে উদ্ধার করবে।
বিষয়:

 ভিডিও
                                        গ্যালারী
 ভিডিও
                                        গ্যালারী 
                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                    
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।