• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


বিশ্বনাথে শীত ও বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন

নিশি রহমান | প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, ২২:১৮

শীত ও বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন

দেখা মিলছে না সূর্যের। গত দু’দিন থেকে ঘন কুয়াশা, বইছে হিমেল হাওয়াও। এর সাথে যোগ হয়েছে পৌষের এক পশলা বৃষ্টি। বৃষ্টির সাথে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।

সিলেটের বিশ্বনাথে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু উপজেলার মানুষ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এ দিকে দু’দিনের এক পশলা বৃষ্টিতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শীতকালীন সবজির। ব্যহত হচ্ছে মৌসুমের বোরো আবাদ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পুরো উপজেলা জুড়ে নেমেছে শৈত্যপ্রবাহ। প্রচণ্ড শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে অনেক এলাকায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। হাট-বাজারে উপস্থিতি কমেছে মানুষের। উদ্দেশ্যহীন ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়, কর্মহীন নিম্ন আয়ের মানুষদের। এদিকে চলতি বোরো মৌসুমের জমি প্রস্তুত হলেও চারা রোপনের জন্যে মাঠে নামতে পারছেন না কৃষকরা। ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রমও। শীত-বৃষ্টিতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অনেকের সবজি ক্ষেতের। নষ্ট হয়েছে বীজতলাও।

সদরের দিনমজুর বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আমরা দিনে আনি দিনে খাই। প্রতিদিন কাজ না করলে চলে না সংসার। এখন অতিরিক্ত ঠাণ্ডা আর কুয়াশার কারণে যেতে পারছি না কাজেও।’

কৃষক ফিরোজ মিয়া জানান, বোরো রোপণ শেষ। এখন পরিচর্যার সময়। গত বুধবার থেকে ঠান্ডা বাতাস আর শীত বেড়েছে। আজ আর ক্ষেতে নামতেই পারিনি।

ভাসমান শীতের কাপড় ব্যবসায়ী টারজান বলেন, শীত-বৃষ্টি আর হীম বাতাসে রাস্তায় দাঁড়ানোই মুশকিল। বাজারে ক্রেতা নেই। তবুও পলিথিনে মালামাল ঢেকে দাঁড়িয়ে আছি। যদি দু’একটি বিক্রি করতে পারি।

উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডেকেল অফিসার রাজীব বৈষ্ণব জানান, শীতের কারণে বর্তমানে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বহিঃবিভাগে প্রতিদিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। ভর্তি রোগীদের মধ্যেও বেশি ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান সরকার বলেন, শীতার্থ মানুষের মাঝে বিতরণের জন্যে শীতবস্ত্র এসছে। ইতোমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ও আশ্রয়ণপ্রকল্পে কিছু বিতরণও করা হয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, আজ এবং কাল বৃষ্টি থাকছে। আর এই দুদিন বাড়ানো থাকবে তাপমাত্রও।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top