• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


ভুয়া পরিচয়ে ২২ বছর কারারক্ষীর চাকরি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারী ২০২৩, ০৪:২১

সংগৃহীত

২০২০ সালের শেষ দিকে সিলেট বিভাগে প্রায় ২০০ জন কারারক্ষী সিলেটের স্থায়ী বাসিন্দা না হয়েও প্রায় ২০/২২ বছর যাবত চাকরি করে আসছে বলে সংবাদে প্রকাশিত হয়। এরপরই মঈনের ঘটনাটি সামনে আসে। পরে মঈন এটি নিয়ে আদালতে মামলা করে। মামলার পর তাজুল ইসলাম তাকে ১০ লাখ টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে মঈন রাজি না হলে তাজুল আত্মগোপনে চলে যান।

ভুয়া পরিচয় দিয়ে ২২ বছর কারারক্ষী পদে কর্মরত থাকা তাজুল ইসলামকে (৪২) বৃহস্পতিবার কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা থেকে আটক করেছে র‍্যাব। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাসিন্দা মঈন উদ্দিন খানের নাম ব্যবহার করে তিনি ২২ বছর ধরে চাকরি করছিলেন। এ সময় তিন সেট কারারক্ষী ইউনিফর্ম, একটি কারারক্ষী জ্যাকেট, একসেট কারারক্ষী রেইনকোর্ট, ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি তার কাছে থেকে জব্দ করা হয়। আটক তাজুল ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল এলাকার মৃত কালা মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১১ কুমিল্লা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।

আরও পড়ুন: ফুকুশিমার ১০ লাখ টনেরও বেশি দূষিত পানি সাগরে ছাড়বে জাপান

জানা গেছে, ২০০১ সালে মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর গ্রামের মো. নুর উদ্দিন খানের ছেলে মঈন উদ্দিন কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া লিখিত, মৌখিক ও শারীরিক পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণও হন। সেখান থেকে জানানো হয়, প্রত্যেকের স্থায়ী ঠিকানায় নিয়োগপত্র পরবর্তীতে ডাকযোগে পাঠানো হবে। কিন্তু নিয়োগপত্র না পাওয়ায় মঈন আর চাকরিতে যোগ দিতে পারেননি।

এ ঘটনার ২১ বছর পর ২০২২ সালের ১২ আগস্ট মঈন উদ্দিন খান কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানতে পারেন তার নাম ব্যবহার করে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে কেউ একজন চাকরি করছেন। এ নিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি মাধবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

পরে সিলেটের কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. কামাল হোসেনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মঈন উদ্দিন খান বিষয়টি অবগত করেন। এরপর তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হবিগঞ্জের জেল সুপারকে নির্দেশ দেন সিলেটের কারা উপ-মহাপরিদর্শক। জেলা কারাগারের জেলার জয়নাল আবেদীন ভূইয়া চিঠি ইস্যু করে মঈন উদ্দিন খান নামের দুইজনকেই কারাগারে হাজিরের জন্য জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে হবিগঞ্জের আসল মঈন উদ্দিন খান হবিগঞ্জ কারাগারে উপস্থিত হন। কিন্তু সেখানে আসেননি মঈন উদ্দিন নামধারী তাজুল।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top