ওমরাহ করতে গেলেন সাজাপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাসেলের (৪৫) বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তার এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়। এরপরও তিনি কিভাবে আইনকে   বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ওমরাহ পালন করতে যান, সেটি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মনে। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।

বুধবার ময়মনসিংহের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (অর্থঋণ) আদালতের বেঞ্চ সহকারী মঞ্জুরুল আলম বলেন, ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি এন.আই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় রেহানা তালুকদার নামে এক নারী বাদী হয়ে আতাউল করিম রাসেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি আসামির অনুপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক হাবিবুল্লাহ মাহমুদ তাকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও চার লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।

আসামি আতাউল করিম রাসেল ফুলপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার কারণে দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তবে বিগত সময়ে সারাদেশের বহিষ্কৃতদের সঙ্গে তাকেও দল থেকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। এমনটা জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আতাউল করিম রাসেলের কোনও জবাব পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া পারভীন জানান, ১ মার্চ তিনি ওমরাহ পালন করার উদ্দেশে মক্কায় যান। এখন তিনি মক্কায় অবস্থান করছেন।

এ বিষয়ে ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য আমার জানা নেই। তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।