খাগড়াছড়িতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, সড়ক অবরোধ ও নিরাপত্তা জোরদার

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২০

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ি শহরের বিভিন্ন স্থানে মঙ্গলবার সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে।

স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’ ব্যানারে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ চলছে। যদিও গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) অবরোধ শিথিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তবুও মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়কে যানবাহনের চলাচল বন্ধ ছিল। অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোও আংশিকভাবে বন্ধ থাকার কারণে শহর অচল অবস্থায় রয়েছে।

আজ সকাল থেকে শহর ও শহরতলী, বিশেষ করে গুইমারায় অধিকাংশ দোকান বন্ধ। থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সীমিত পরিসরে শুধুমাত্র ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচল করছে। নিরাপত্তা জোরদার হওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারায় ১৪৪ ধারা এখনও বহাল আছে। জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ধারা তুলে নেওয়া হবে।

গুইমারা থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, গত রবিবার সহিংসতায় নিহত তিনজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাতের মধ্যে দাহক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উত্তরণের কাজ চলছে।

বিজিবির খাগড়াছড়ি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আব্দুল মোত্তাকিম বলেন, “খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য বিজিবি বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছে। পরিস্থিতি যাতে আরও অবনত না হয়, তাই ১০টি প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।”

উল্লেখ্য, ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে গুইমারা উপজেলায় প্রাইভেট পড়ার পথে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই রাতে অচেতন অবস্থায় তাকে ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ শয়ন শীল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালত তাকে ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠায়।

এর আগে রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) অবরোধ ও বিক্ষোভে উত্তেজনার সময় গুইমারার রামেসু বাজার রণক্ষেত্রের মতো হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top