নরসিংদীতে স্ত্রী-সন্তানসহ ৬ জনকে দগ্ধ, এ ঘটনায় মারা গেল আরও ২ জন
নরসিংদী প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪১
নরসিংদীতে পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনার শিকার দুজন মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৯টা এবং দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
মারা যাওয়া দুজন হলেন—রিনা বেগম (৩৮) এবং তাঁর ছেলে ফরহাদ (১৫)। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুজন চন্দ্র সরকার।
এ ঘটনায় রিনার আরেক ছেলে তাওহিদ (৭) এখনো চিকিৎসাধীন। তার শরীরের ১৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন রিনার বড় ছেলে জিহাদ (২৪), বোন সালমা বেগম (৩৪) ও তার ছেলে আরাফাত (১৫)।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান জানান, রিনার শরীরের ৫৮ শতাংশ ও ফরহাদের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
গত বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদিয়া এলাকায় এই নৃশংস ঘটনা ঘটে। পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী রিনার বাবার বাড়িতে গিয়ে ঘুমন্ত রিনা ও তাঁর তিন সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন ফরিদ মিয়া (৪৪)। পরবর্তীতে বাইরে থেকে দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা টিনের ঘরের দরজা ভেঙে দগ্ধদের উদ্ধার করেন এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে তাদের হাসপাতালে পাঠায়। নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গুরুতর অবস্থায় পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় রিনার মা হোসনা বেগম বাদী হয়ে ফরিদকে একমাত্র আসামি করে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করেন। শনিবার রাতে রায়পুরা থানার বারৈচা এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার জানান, দুইজনের মৃত্যুর পর মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করা হবে। ফরিদ বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।