গাজীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক মোল্লাহ অস্ত্রসহ আটক

গাজীপুর-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেওয়া এনামুল হক মোল্লাহ (৪৮) কে অস্ত্রসহ আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বুধবার (৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত শ্রীপুর উপজেলার বরকুল গ্রামে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার ছয় সহযোগীকেও আটক করা হয়েছে।

আটক এনামুল হক মোল্লাহ শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামের প্রয়াত আবদুল আহাদের ছেলে। তিনি বরমী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সৌদি আরবের মক্কা মিছফালাহ শাখা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে সম্প্রতি তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একাধিক মামলার কারণে ২০১৭ সালে তিনি নাম পরিবর্তন করে “আব্দুল্লাহ আল মামুন” পরিচয়ে সৌদি আরব চলে যান। সেখানে কয়েক বছর থাকার পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশে ফেরেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী এনামুল হক মোল্লাহর বাড়িতে অভিযান চালায়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বরমী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার ছয় সহযোগী—শওকত মীর, জাহিদুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, সিদ্দিকুর রহমান, বুলবুল ও তোফাজ্জলকে আটক করা হয়।

ওসি আরও জানান, তাদের কাছ থেকে ২টি পিস্তল, ৩টি ম্যাগাজিন, ৪ রাউন্ড গুলি, ৪টি ওয়াকিটকি, ৪টি বেটন, ২টি ইলেকট্রিক শক মেশিন, একটি হ্যামার নেল গান ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এ বিষয়ে এনামুল হক মোল্লাহর ছোট ভাই আশরাফুল মোল্লাহ অভিযোগ করেন, “গাজীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণায় এনামুল হক মোল্লাহকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।”

অন্যদিকে বিএনপি নির্বাহী কমিটির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, “এনামুল হক মোল্লাহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য ২০০১ সালে বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যান।”